সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি।।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিমুক্ত দৃষ্টিনন্দন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নবদিগন্তের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়গুলোর জীর্ণ-শীর্ণ দশা, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, শ্রেণিকক্ষ সংকট তথা পাঠদানের নাজুক পরিবেশ থাকায় উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মান্নাফ ওই সকল বিদ্যালয় খুঁজে বের করে সেগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভবন নির্মাণের স্থানের মাটি পরীক্ষা পূর্বক প্রস্তাবনা পেশ করেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে উপজেলা প্রকৌশলীকে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের স্থানের সোয়েল টেস্ট পূর্বক প্রস্তাবনা প্রেরণের নির্দেশনা দেয়। প্রস্তাবনা পেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রাইমারী এডুকেশন ডেভেলোপমেন্ট প্রজেক্ট-৪ এর অনুকুলে বিদ্যালয়গুলোতে দ্বি-তল ত্রি-তল ভবন নির্মাণের জন্য পর্যায়ক্রমে ৪১ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৫’শ ৫৪ টাকা বরাদ্দ দিলে দরপত্র আহবান করা হয়।
বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ নিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু করে। উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট উপসহকারী প্রকৌশলীদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিডিউল অনুসরণ করে মানসম্পন্ন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের মাধ্যমে মাত্র ৬/৭ মাসের মধ্যে বিদ্যালয়গুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শতভাগ সম্পন্ন করে। এ ছাড়া জিপিএস প্রজেক্টের ৭টি বিদ্যালয় ১৫টি প্রধান শিক্ষকের কক্ষ নির্মাণ ও ১০টি বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়ালের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে নির্মাণকৃত দৃষ্টিনন্দন ভবনগুলোতে শিক্ষার্থীদের বেঞ্চ, ফ্যানসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। ভবনগুলো হস্তান্তরের অপেক্ষায় এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাবাসীরা জানান দৃষ্টিনন্দন এমন প্রতিষ্ঠান হবে এসব আগে আমরা ভাবতেই পারিনি। এতদিন আমাদের ছেলে মেয়েরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বিদ্যালয়ের পাঠ গ্রহণ করে। এখন তারা মনের আনন্দে নিরাপদে ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশ সুশিক্ষা গ্রহণ করবে এবং স্যাররা সু-শিক্ষা দান করবেন এমনটাই এখন আমরা আশা করছি। উপজেলা প্রকৌশলী আঃ মান্নাফ জানান বিদ্যালয় ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ শতভাগ মান সম্মত করে নিতে পেরেছি। আশা করছি আগামী ২/১ মাসের মধ্যে ভবনগুলো হস্তান্তর করা হবে। আরো বেশ কিছু বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। যে ভবনগুলোর নির্মাণ চলছে তা অচিরেই শেষ হবে বলে আশা করছি।