শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে শেরপুরে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় গোলযোগের কারণে সভাটি পণ্ড হয়ে যায়।
বুধবার বিকালে সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি মাঠে কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতে সভার কাজ শুরু হলে স্থানীয় একদল ছাত্র-যুবক মঞ্চে ওঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। মঞ্চে গোলযোগ শুরু হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে বিদ্যালয়ের পাশের একাডেমিক ভবনের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। গোলযোগকারীরা মঞ্চের ব্যানার ও সামিয়ানা ছিঁড়ে ফেলে।
এসময় অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক দেখা দিলে অনেকে সভাস্থল ত্যাগ করলে সভাটি পণ্ড হয়ে যায়। প্রায় আধাঘণ্টা এভাবে গোলযোগ চলার পর সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর সেনা-পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা ক্ষতিগ্রস্ত মঞ্চে ওঠে আবারো মাইক ধরেন এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নানা শ্লোগান দেন।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান এ ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইনশঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় তারা অনশনের হুশিয়ারি দেন। সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচন করা কর্মী ও পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের দোসররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’
পরে জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্য ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের নিরাপত্তার সঙ্গে শেরপুর ত্যাগ করতে সহায়তা করেন।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের নের্তৃবৃন্দ এদিন সকালে শেরপুরে আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট গুলিতে ও প্রশাসনের গাড়িচাপায় নিহত হওয়া ৩ শিক্ষার্থীর বাড়িতে যান এবং নিহতদের কবর জিয়ারত করেন। পরে শেরপুর সরকারি কলেজ মিলনায়তনে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শেরপুরে আন্দোলনের সময়ে মাঠে কাজ করা শিক্ষাথীদের সাথেও মতবিনিময় করেন।