স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ :
গোপালগঞ্জে গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৪৪৯ টন। জেলায় ৫ হাজার ৩৪৫ হেক্টরে গম আবাদ করা হয়েছে। গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করতে প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। এতে জেলায় গমের উৎপাদন এ বছর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পারচালক আ: সরদার জানিয়েছেন, মুকসুদপুর উপজেলায় ৪ হাজার ২২৬ হেক্টর, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪২৫ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ৪৭২ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৩৭ হেক্টর জমিতে ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে গোপালগঞ্জ জেলায় গম আবাদ শেষ হয়েছে। এখান থেকে অন্তত ২২ হাজার ৪৪৯ টন গম উৎপাদিত হবে।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বণগ্রামের কৃষক বালা মোল্লা (৫৬) বলেন, আগে গমে ব্লাস্ট রোগ হত। তাই গম আবাদ করে লোকসান হত। যে কারনে গম আবাদ ছেড়েই দিয়েছিলাম। সরকার প্রণোদনার গম বীজ ও দিয়েছে। তাই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাতের গম পেয়ে আবাদ করেছি। গত বছর হেক্টরে ৪.২ থেকে ৪.৫ টন ফলন পেয়েছিলাম। এসব গমে ব্লাস্ট রোগ নেই। তাই গমের অধিক ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছিলাম। তাই এ বছর সরকারের প্রণোদনা পেয়ে ও নিজের খরচে ১ একর জমিতে গমের আবাদ করেছি। এ বছর ক্ষেতে গম ভালো দেখা যাচ্ছে। আশাকরি ফলন ভাল পাব।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, জেলার ৫ উপজেলায় গম আবাদ বৃদ্ধির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। এসব বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৩ হাজার বিঘা জমি আবাদ করেছেন। এ কারণে গোপালগঞ্জে গমের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে এ জেলায় গমের উৎপাদন এ বছর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। #