নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশন নীলফামারীর জলঢাকায় করোনা কালীন স্বাস্থ্য বিধি মেনে জলঢাকার শিশুদের জন্য নিম্নলিখিত অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ শে সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে “ছোটদের শেখ হাসিনা” বিষয়ে আলোচনা সভা। “জাগরণের গানে মুখরিত নতুন প্রজন্ম” ব্যানারে উৎসব র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। শিশুদের এই র্যালী জলঢাকার ঐতিহাসিক স্থান সমূহ পরিভ্রমণ করেছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল বঙ্গবন্ধু চত্তর, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও শহীদ মিনার। এই পর্বের শিরোনাম ছিল “আমার জলঢাকা”। শেখ হাসিনার শতায়ু কামনায় অনুষ্ঠানমালার পরিসমাপ্তি হয় কেক উৎসব দিয়ে। অনুষ্ঠানমালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ। আলোচনা সভা ও উৎসব র্যালী টি ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজের নিজ ইউনিয়ন বালাগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে। আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ শিশুদের উদ্যেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাংলার জাগ্রত জনতার, শেখ হাসিনা বিশ্বের বিস্ময়। তিনি ফিনিক্স পাখির মত বার বার বেঁচে উঠেন লড়াই করে। আমাদের শিশুদের সেই শক্তি অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশে নতুন নতুন ভোর তো আমাদের শিশুরাই আনবে। তাই আজ শিশুদের প্রতিজ্ঞ্যা করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যেন শকুনদের হাতে না পড়ে। আর তাই বাংলাদেশের মাটিকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সকলকে এক একজন শেখ হাসিনা হতে হবে। “জাগরণের গানে মুখরিত নতুন প্রজন্ম” ব্যানারে আয়োজিত উৎসব র্যালী তে বেজে চলছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন জাগরণের গান সমূহ। “পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে”, “শোন একটি মুজিবরের থেকে”, “কারার ঐ লৌহ কপাট”, “ভয় কি মরণে”, “বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ্ব”, “বিচারপতি তোমার বিচার”, “জনতার সংগ্রাম চলবেই” … গানে গানে মুখরিত জলঢাকার আকাশ বাতাস। সেই সাথে দুই শতাধিক ভ্যানে বসে সহস্রাধিক শিশু-কিশোর মাথায় তাজ আর লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর “জয় বাংলা” স্লোগানে দিক-বিদিক প্রকম্পিত করে চলেছিল। জলঢাকা উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন থেকে ফাউন্ডেশন পরিবারের সহস্রাধিক শিশুদের মিলন মেলায় মুখরিত হয় আজ জলঢাকা পৌরসভা। বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুরা শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করেছে, শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে। একই সাথে অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে তারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার মতই ইস্পাত কঠিন দৃঢ় চিত্তের অধিকারী হবে। এ এক অসাধারণ উপলব্ধি! এ এক ঐতিহাসিক অনুভূতি! এসময় র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন এনামুল হক, প্রধা সমন্বয়ক ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ফাউন্ডেশন, রঞ্জিত কুমার রায়, সভাপতি সনাতন সম্প্রীতি সংঘ, অনীল চন্দ্র রায়,সাধারণ সম্পাদক সনাতন সম্প্রীতি সংঘ, সভাপতি অনীল কুমার রায়, শিক্ষক সংঘ, সফিয়ার রহমান সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক সংঘ, নুরুজ্জামান সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষক সংঘ, আবেদ আলী, মিডিয়া সেল, সংঘের সভাপতি, রেজওয়ানুল প্রামাণিক, মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামপরিষদ।