মাহমুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥
দেশের মানুষের মুখে আজ হাসি নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছুর দাম আজ আকাশচুম্বি। সব কিছুতেই আজ অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আওয়ামীলণীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উচিৎ আয়নায় নিজের চেহারা দেখে তা দেশের সাধারণ জনগণের চেহারার সাথে মিলিয়ে দেখা। তাহলেই তিনি পার্থক্য বুঝতেক পারবেন বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহানচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, তাদের জনগণের ভোট লাগেনা। তারা নিজেরাই সব করতে পারে। খুব শুকৌশলেই তারা ১/১১ থেকেই দেশে বিরাজনীতিকরনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশের সাধারণ জনগণ আজ রাজণীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর মাসুল তাদেরকেই দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটা এখন এই সরকারের হাতে পরে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে কারনেই আমরা বিগত নির্বাচনগুলো বর্জন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে সার্চ কমিটিতে আমাদের মতামত দিয়েছি কিন্তু এই সরকার কোন কিছু গ্রহন করে নাই। কারন তারা জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির জয় নিশ্চিত।
তিনি আরো বলেন, নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলাগুলি তারাই চালিয়েছে আর দোষ দেবার চেষ্টা করেছে অন্যদের ঘাড়ে। নির্বাচনকে সামনে,তাই সেকথা মাথায় রেখেই এবং বিএনপি সহ অন্য দলগুলিকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যেই তারা এসব করেছে। সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় আবারো কয়েক হাজার মামলা করেছে তারা। সরকার তাদেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নীল নকশা অনুযায়ী এসব করেছে। তবে এসব করে দেশের মানুষের মুখ বন্ধ রাখা যাবেনা বেশিদিন ।
মির্জা আলমগীর আরো বলেন,সরকার নির্বাচনের নামে উপহাস করে এতটা সময় ধরে অবৈধভাবে যে চেয়ারটা ধরে রয়েছে তার মাসুল তাদেরকেই দিতে হবে। ইতিহাস থেকে আমরা সে শিক্ষাই পাই। হিটলারও ক্ষমতার দাপটে টিকে থাকতে পারেনি যেমন , মসোলিনিও তার চেয়ারটা ধরে রাখতে পারেনি। সময় তার নিজ প্রয়োজনেই তাদের সে ক্ষমতা সে চেয়ার থেকে ছুড়ে দিয়েছে নিক্ষেপ করেছে। আজ তারাই কলঙ্কিত। এর ব্যতিক্রম এখানেও ঘটবেনা।
সাংবাদিকদের সাথে কথোপকথনের সময় তার সাথে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মির্জা ফয়ল আমিন, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর হোনের তুহিন সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।