নিজেস্ব প্রতিবেদক।।
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে বাংলাদেশে এবং দেশের বাইরে।
1975-এ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার মাধ্যমেই শুরু হয় হত্যা আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি।
বঙ্গবন্ধুকে অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
রেডিও টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু, শেখ মুজিব কিম্বা জাতির পিতা বলাও নিষিদ্ধ ছিল।
পাঠ্য পুস্তকে বঙ্গবন্ধুর নাম গন্ধ ছিলনা।
ক্যান্টনমেন্টের শিক্ষায় দীক্ষিত, পাকিস্তান প্রেমে পরীক্ষীত তাদের হাতে ছিল ক্ষমতা।
তখন বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিল আওয়ামী লীগ অফিসের দেয়ালে,
বঙ্গবন্ধু ছিল মানুষের হৃদয়ে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের হৃদয়ে।
পনেরোই আগস্টে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবস পালিত হতো মিলাদ মাহফিল আর কাঙালী ভোজের মাধ্যমে। সেখানেও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছে নেতা কর্মীরা।
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা শোক দিবসে ফুঁসে উঠেছিল বার্থ ডে গার্লের কেক কেটে আনন্দ ফুর্তি করা দেখে।
শোককে শক্তিতে পরিণত করে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল রাজপথে। নব্বই এর আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সংস্কৃতি কর্মীরা ছিল সম্মুখ যোদ্ধা, তবুও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে পারেনি।
কেন?
অনেক কেন’র উত্তর নাই তবুও বলি।
সাত চল্লিশটি মন্ত্রনালয়ের সচিব যাদেরকে সহজ ভাষায় আমলা বলা হয়, তাদের অধীনে ছিল পুরো প্রশাসন। সেই সিএসপি অফিসারদের বেশীরভাগ ছিল পাকিস্তান প্রেমে পরীক্ষীত, এতোটুকুই বললাম।
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বলেই রাজপথ ছাড়েনি। যার সুফল ছিল নেত্রীর যোগ্য নেতৃত্বে 1996-এ নির্বাচনে জয়লাভ।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকানো হয়নি।
যুদ্ধপরাধীদের বিচার হয়েছে,
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে।
তবুও আমার একটি কথা!
রাজপথে আন্দোলন করা সেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অনেকেই আজ উপেক্ষিত। নেতৃত্ব থেকেও বঞ্চিত।
অথচ;
পনেরোই আগষ্টের শোক দিবসে মোস্তাকদের চোখে অস্রু।