মাহমুদ আহসান হাবিব :
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় চুরির মামলায় প্রকৃত আসামীকে না ধরে ভুল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০ টার সময় বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন গ্রেফতার হওয়া আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী রুপসানা আকতার।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে তার স্ত্রী বলেন, ‘আজ (সোমবার) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী বাজারের আমার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমিসহ পরিবারের স্বজনেরা থানায় গিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করলে আমার স্বামীর নামে চুরির মামলা রয়েছে বলে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ জানায়। মামলার কাগজপত্র দেখতে চাইলে ঠাকুরগাঁও আদালতে গিয়ে খোঁজ নিতে বলে। বিকালে ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলার কাগজপত্র তুলে দেখি যে, ২০১১ সালে ১৬ জুন রাণীশংকৈল থানায় বাইসাইকেল চুরির একটি মামলায় আমার স্বামীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।’
রুপসানা আরো বলেন, ‘মামলার কাগজপত্র যাচাই করে দেখি যে, ওই মামলার প্রকৃত আসামী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের জিয়াখোর গ্রামের তসলীম উদ্দীন ওরফে বুধু মোহাম্মদের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক নেকমরদ বাজারে বাইসাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। ওই সময় বাজারের লোকজন বাইসাইকেলসহ তাকে রাণীশংকৈল থানা পুলিশের হাতে তুলে দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।’
তার অভিযোগ, ‘দীর্ঘ ১০ বছর ওই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার না করে উপজেলার মহিষমারী গ্রামের আলিম উদ্দীন ওরফে বৈশাখুর ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।’
মামলার কাগজপত্রে দেখা যায়, ২০১১ সালে আব্দুর রাজ্জাক নামীয় আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তখন তার বয়স ছিল ৩৫ বছর। ২০২১ সালে তার বয়স হবে ৪৫ বছর। অথচ ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী বয়স ৩৩ বছর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল হক সাংবাদিকদের জানান, সঠিক আসামীকেই গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।