হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন অনাবাদি, আবাদি জমিতে শীতকালীন সবজির ব্যাপক আবাদ হয়েছে। । উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের জমিতে সবজির ফলন ও বাম্পার হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারগুলোতেও সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং অনেক বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে পেরে কৃষকেরাও বেজায় খুশি ।এ বছর অনেক কৃষক শুধুমাত্র লাউ বিক্রি করেছেন লাখ টাকার ওপরে। আবার অনেকেই হয়েছেন সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী। ফলে কৃষকেরা অন্য ফসল আবাদ কমিয়ে সবজি চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। দ্রব্যে মূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ কৃষকদের নাভিশ্বাস। তাই সবজি চাষ করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় চাষীরা।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার হেক্টর। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরো অধিক জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি গ্রামের আবাদি ,অনাবাদি কিংবা উচু-নিচু জমিতে শসা ,বেগুন ,কাঁচা মরিচ, কুমড়া, বরবটি, চিচিঙ্গা ,করলা, মুলা, ঢেঁড়স, ফুলকপি, বাঁধা কপি, টমেটো,পটল,পানআলু ,ঝিঙ্গা,লালশাক,পালংশাক, মুলাশাক, ধনিয়া পাতা সহ বিভিন্ন জাতের শাক সবজির ব্যাপক আবাদ করেছেন প্রান্তিক চাষিরা।
অন্যদিকে চাষকৃত জমিতে সবজির ফলনও হয়েছে বাম্পার। বর্তমানে বাজারে শাক সবজির দাম বেশি ও ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে বেশিরভাগ জমিতে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।
এ সময় উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের সবজি চাষী হেলাল উদ্দিন , রহিমপুর গ্রামের সবজি চাষী মফিজ উদ্দিন, আশুতিয়া গ্রামের আফিল উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, বাজারে সবজির দাম ভালো থাকায় এ বছর সবজির চাষ করেছি ব্যাপক। তবে অতিবৃষ্টিতে সবজির ক্ষতি হয়েছে। সবজি চাষে খরচ তুলনামূকভাবে অনেক কম থাকায় তারা সবজি বিক্রি করে অধিক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একে এম সাজাহান কবির জানান, এ বছর প্রতিকূল আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও উপজেলার বেশিরভাগ জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়েছে । ভালো দাম পেয়ে কৃষকেরাও খুশি । অনেকেই সবজি চাষ করে স্ববালম্বী হওয়ার পাশাপাশি লাখোপতি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।