
পলাশ দাস।।
বরিশালের হিজলা উপজেলার শেষ প্রান্ত জানপুর সহ কয়েকটি গ্রামের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে মাটি খোকোরা।এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা, ধ্বংস হচ্ছে ফসলী জমি।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় মুন্সিগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী,গোলাম কিবরিয়া মিয়াজি ও চাদপুর জেলার যুবলীগ নেতা মুন্না এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্ছুর নেতৃত্বে প্রতিদিন কোটি টাকা মাটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
সেখানে প্রায় ১৫/২০ টি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে ২ শতাধিক ট্রলিতে মাটি বহন করে নদীর কিনারায় ট্রামিনালের মাধ্যমে বালগেডে করে দেশের বিভিন্ন জেলায় মাটি পাচার করছে।
সশস্ত্র এই চক্রের আতঙ্কে চরাঞ্চালের সাধারন কৃষকরা ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা।
যদি কেউ মুখ খুলে রাতের আধারে ওই পরিবারকে অস্ত্রের মুখে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হয়।
স্থানীয় অনেকে জানান প্রশাসন ম্যানেজ না করে মাসের পর মাস মাটি খেকোরা অবৈধভাবে মাটি লুট করতে পারেনা।

ভেকু দিয়ে কাটি কাটা হচ্ছে
হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের জানপুর এলাকার ইউপি সদস্য কালাম সরদার বলেন যে জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে তা হিজলা উপজেলার জমি।
তারা জোর পূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাটি কাটছে।
হাইমচর দাবি করে কমলগঞ্জ ইউপি সদস্য বাচ্চু সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত আছে।
মাটি কাটা সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা চাঁদপুর জেলা যুবলীগ নেতা মুন্নার নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি শুধু পরিচালনার দায়িত্বে বলে জানিয়েছেন।
চাদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্বিতা চাকমা জানায় মাটি কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।সরোজমিনে গেলে জানাযাবে জমি হিজলার না হাইমচরের।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত সিংহ বলেন সরোজমিনে গিয়ে অবৈধ মাটি কাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।