
হিজলা প্রতিনিধিঃ
বরিশালের হিজলা উপজেলা নিকটবর্তী মেঘনা নদীতে মা ইলিশ অভিযানে নতুন কৌশলে মৎস্য দপ্তর কে ম্যানেজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নিয়োগপ্রাপ্ত মাঝি সাইদুর রহমান ও খলিল মাঝির বাহিনী দিয়ে নিরীহ জেলেদের জাল মাছ লুট করে নিয়ে আবার সেই মাছ জাল অন্য জেলেদের কাছে বিক্রি করে ওই চক্রটি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল হালিমের টলারে র মাঝি সাইদুর রহমান কিন্তু ওই ট্রলারের পিছনেই সাইদুরের ও খলিল মাঝির দেয়া তিনটি টলার দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে রুহুল আমিন মাঝি, ইয়াসিন ও দেলু প্রতিদিন জেলেদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে আদায় করেছে। যারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় তাদের জাল মাছ ও সাথে থাকা মোবাইল সেট সহ সকল কিছু চক্রটি নিয়ে যায়।
এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র জেলেরা।
যাদের বড় বড় জালের সাভার তারা চাঁদা দিয়ে মা ইলিশ অভিযান এর ২২ দিন নদীতে মা ইলিশ নিধন করছে।
২৫ অক্টোবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হিজলার উপজেলার ১০ থেকে ১২ জন সংবাদকর্মী সাইদুল এবং খলিল মাঝির লুট করা জাল দেখতে ছুটে যায় মৎস্য দপ্তরের মাঝি শাহিদুর রহমান ও খলিলের নিয়োগ দেয়া মেমানিয়া ইউনিয়নের জলদস্যু রুহুল আমিনের বাড়িতে।
সেখানে গিয়ে দেখা যায় ঘরে মধ্যে, বাইরে ও ট্রলারে অবৈধ কারেন্ট জাল এর স্তুপ যার আনুমানিক মূল্য ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।
স্থানীয় সাইদুল মোল্লা, আরিফ বয়াতি ও সুলাইমান বয়াতি সহ অনেকেই জানান মা ইলিশ অভিযান এর দিনগুলোতে এখানে ছিল জাল এবং ইলিশ বিক্রির মহোৎসব। তারা আরো বলেন সাইদুল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড রুলামিনের আতঙ্কে ছিলোনিয়া সংলঙ্গ মেঘনা নদী তাকে চাদা না দিয়ে কেউ নদীতে মাছ ধরতে পারতো না। শুধু সেখানেই ক্ষান্ত নয় এই টাকার বড় একটি অংশ উপজেলা মৎস্য দপ্তরের নামে চলে যেত এমনটাই জানিয়েছেন অনেকে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল হালিমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় জাল মাছ লুটের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন রুহুল আমিন মৎস্য দপ্তরের মাঝি নয় মৎস্য দপ্তরের প্রকল্পে নিয়োগ দেয়া নদীর পাহারাদার অভিযান চলাকালীন সময়ে রুহুল আমিন সাইদুলের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এরকম কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।