হিজলা প্রতিনিধি।।
বরিশালের হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাহমুদুল হক(মাঞ্জাল হক)রাড়ীর ছেলে মোহাম্মদ রিয়াজ ছাত্র আন্দোলনের নিয়মিত যোদ্ধা ছিলেন।
৪ আগস্ট ঢাকা সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়। দীর্ঘদিন ১৩ দিন ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লাগছে।
এর মধ্যে কয়েকদিন আইসিইউতে ছিল।
১৭ আগস্ট বিকাল ৪ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান।
ইন্না ইলাইহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহত রিয়াজ মুলাদী কলেজের ডিগ্রীর শেষ বর্ষের ছাত্র।
এ নিয়ে হিজলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তিন জনের মৃত্যু।
বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর হাসান এর ছেলে শাহিন (২১) মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত শাহীন একটি খাবারের হোটেলে কাজ করতো। এমনকি বিএনপি’র কর্মী ছিল।
২৬ জুলাই শাহীনকে তার নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
একইভাবে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে গুলিবিদ্ধ হয়ে বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামের নসীর উদ্দিন এর ছেলে আতিকুর রহমানের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও ১৯ জুলাই উপজেলার গুয়াবাডিয়া ইউনিয়নের শরীয়ত উল্লাহ সিকদার এর ছেলে মহিবুল্লাহ(১৮) নারায়ণগঞ্জ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়।
দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। বর্তমানে সাভার সিআরবি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। গুলিবিদ্ধ মহিবুল্লাহ ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে ইউনাইটেড গ্রুপের কোন একটি শাখায় চাকরি করতো।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট দেওয়ান মনির হোসেন জানায় মাত্র তিনজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেল অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। তিনি আরো বলেন দলীয়ভাবে নিহত ও আহতদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।