নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশালের হিজলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের শিকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
(১১ফেব্রুয়ারি) রবিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের ওরাকুল মাছ ঘাটে পঙ্কজ অনুসারী রাজিব হোসেনকে কুপিয়ে জখম করেছে ড.শাম্মী
অনুসারীরা।
আহত রাজিবকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় ১১ফেব্রুয়ারি ড. শাম্মী আহমেদ অনুসারী বিপ্লব, জাকির, আলি, মারুফসহ কয়েকজন পঙ্কজ অনুসারী রমিজ বেপারীর মাঝঘাটে গিয়ে, ঘাট বন্ধসহ নানা ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে।
হুমকি ও ঘরে আগুন দেয়ার বিষয়ে রমিজ জানায় ডক্টর শাম্মী আহমেদের অনুসারী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলনের নির্দেশে তার অনুসারী স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক মাঝির লোক বিপ্লব জাকির এর নেতৃত্বে রাত ৯ টার দিকে তার বসত ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
কেন ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে রমিজ বলে পংকজ দেবনাথ এর কর্মী হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ করেও এ ধরনের হামলা মামলা ও ঘরে আগুন দিয়েছে । ঘরে থাকা নগদ এক লক্ষ টাকা ও আসবাবপত্র নিয়ে যায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা চান শরীফ জানান রক্ত মাংসে গড়া আওয়ামী লীগ তারা। আর সেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরেও এরই মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে।
স্থানীয় অনেকেই জানান, মেঘনায় মাঝ ঘাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
এসব হামলা মামলা বিষয়ে উভয় পক্ষে রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ড.সাম্মী সমর্থক নজরুল ইসলাম মিলন জানান, কুপিয়ে জখম করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে দলীয় আভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন না হলে এর ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পংকজ সমর্থক এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন তিনিও কয়েকটি মামলার আসামি। এলাকায় বিশৃঙ্খলার অন্যতম হোতা নজরুল ইসলাম মিলন। মেঘনায় একক মাছের ব্যবসা পরিচালনার জন্যই নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করছে।
উপজেলার হিজলা গৌরবদি ইউনিয়নের গোটা এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সাধারণ নেতা কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ জুবাইর আহমেদ ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এরই মধ্যে উভয় পক্ষের কমপক্ষে দশটি মামলা হয়েছে।