হিজলা প্রতিনিধিঃ
বরিশালের হিজলা উপজেলায় মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টা মামলায়
যুবক কে ফাসালেন এক গৃহবধু। জানা যায় গত ১১ ই অক্টোবর হিজলা থানায়
জাকির জমাদ্দারের স্ত্রী খায়রুন নাহার একটি ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ দিয়ে
মামলা দায়ের করে।ওই মামলা বরিশাল সেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার হোসেন মোল্লাকে হিজলা থানা পুলিশ
আটক করে।এ ঘটনায় উপজেলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের চরকুশরিয়া গ্রামে
সরোজমিনে গেলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসে।গত ১০ ই আক্টোবর সন্ধ্যার
সময় পাশ্ববর্তি বাড়ির জাকির জমাদ্দারের ছাগল গিয়ে আনোয়ার মোল্লার
বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ খেয়ে ফেলে।এ নিয়ে দুই পরিবাবের মাঝে
হাতাহাতি হয়।এ ঘটনায় জাকির জমাদ্দারের বাবা কাঞ্চন জমাদ্দার আনোয়ার
মোল্লা কে তার ছেলের সাথে মিমাংশার কথা বলে মান্দ্রা বাজারে ডেকে আনে।
বাজারে ওতৎ পেতে থাকা জাকির জমাদ্দার,রুবেল জমাদ্দার,সেলিম জমাদ্দার,সোহেল
জমাদ্দার,মিলন জমাদ্দার,রিয়াজ জমাদ্দার ফারুক জমাদ্দার সহ ১০/১৫ জন মিলে খলিল
জমাদ্দারের মুদি দোকানের ভিতর এলাপাতারী মারপিঠ করে।এতে আনোয়ার মোল্লা
গুরুতর আহত হয়।তখন আনোয়ার মোল্লাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে উন্নত
চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করায়।এ ঘটনাকে ভিন্ন
খাতে প্রভাবিত করার লক্ষে ১১ আক্টোবর জাকিরের স্ত্রীকে হিজলা উপজেলা
স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ভর্তি করে হিজলা থানায় একটি ধর্ষন চেষ্টা মামলা করে।মামলার
বাদী খায়রুন নাহার এর মেয়ে লামিয় সাংবাদিকদের জানায় গতকাল সন্ধ্যার সময়
পাশের বাড়ির লোকজনের সাথে ঝগড়া হয়।
তখন আমার মাকে ঝাড়–পেঠা করে।তখন আমরা দাদার বাড়িতে চলে যাই।এ কারনে
সকালে মাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জাকির জমাদ্দারের ভাই সোহেল জানায় গতকাল সন্ধ্যার সময় আমার ভাই ও ভাবির
সাথে পাশের বাড়ির আনোয়ার মোল্লার ও তার স্ত্রী মারপিট করে।এ ঘটনা কে
কেন্দ্র করে সন্ধ্যার সময় মান্দ্রা বাজারে পূনরায় আবার মারামারি হয়।
এ ব্যাপারে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস মিয়া জানায়
ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের নিকট একটি ধর্ষন
চেষ্টা মামলা দেন।হিজলা থানা পুলিশ আসামী আটক করে।আমি তদন্তে সাপেক্ষে
সত্য ঘটনা উদঘটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।