নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ-
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন হেফাজতের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে সমালোচনা করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে যাওয়া ঝুমন দাশ।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আলমগীর কবীর খানের কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তিনি।
জানা গেছে, চতুর্থ দফায় ইউপি (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচনে শাল্লা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার ২১ হাজার ৯১২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ২৩ জন ও নারী ভোটার ১০ হাজার ৮৮৯ জন।
এ বিষয়ে ঝুমন দাশ বললেন, ১০ বছর আগে থেকেই আমি নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় আমি পথ চলি। আমাদের জাতির পিতা ৩ হাজার ৩৫৩ দিন জেলে ছিলেন। সেখান থেকেই আমার আদর্শের সূত্রপাত। জাতির পিতা রাজনীতি করে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছিলেন। এখান থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করছি।
ঝুমন বলেন, গতবার স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে একজন প্রার্থীর হয়ে মাঠে কাজ করেছি। তখন সাধারণ মানুষকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে এই প্রার্থীকে নির্বাচিত করলে যেকোনো সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে। নির্বাচনের পাঁচ বছরে মানুষকে যে কথা দিয়েছিলাম, তা করতে পারিনি। কারণ, আমি চেয়ারম্যান ছিলাম না। তাই আমার দেওয়া প্রতিশ্রুতির অসমাপ্ত কাজগুলো এবার নিজে চেয়ারম্যান হয়ে পূরণ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, রোববার (৫ ডিসেম্বর) উপজেলায় এসে চালান ফরম কিনে ৫ হাজার ৫০০ টাকা সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়েছি। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে আমার প্রার্থিতার জন্য নমিনেশন ফরম কিনে এনেছি। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদে বাড়িসহ সব টেক্স (কর) পরিশোধ করেছি। নমিনেশন ফরম পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জমা দেব।
শাল্লা উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রেজাউল করিম বললেন, নির্বাচনে সকল প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। যারা নমিনেশন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিধি অনুযায়ী তাদের আগামী ৯ ডিসেম্বরের ভেতর জমা দিতে হবে।