নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ-
‘হাফ ভাড়া’র দাবিতে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় বাসে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছেন তিন কলেজের বেশকিছু শিক্ষার্থী। তারা অন্তত ১০টি বাসে ভাঙচুর চালান।
এসময় মিরপুর রোডে কিছু সময় বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সেখান থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করা শিক্ষার্থীদের পরনে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের পোশাক দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাবের ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনের মোড় ও সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সায়েন্সল্যাবের ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনের মোড়ে যানজটে বাস কিছুটা ধীরগতিতে চলছিল। ওই সময় কলেজ ড্রেস পরা শিক্ষার্থীরা হঠাৎ বাস ভাঙচুর শুরু করেন। তারা হাফ ভাড়ার দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
ল্যাবএইডের সামনের সড়কে রাস্তার পাশের পান বিক্রেতা জসিম মিয়া বলেন, ‘কিছু জানি না মামা। হঠাৎ দেখলাম কিছু পোলাপান গাড়ি ভাঙচুর করছে।’
মিরপুর মেট্রো সার্ভিসের চালক রহমত মিয়া বলেন, ‘গাড়ি নিয়ে ল্যাবএইডের সামনে যেতেই দেখি গাড়ি ভাঙতে ভাঙতে আসছে ছাত্ররা। পরে আমি গাড়ি রেখে পালিয়ে গেছিলাম। তারা চলে যাওয়ার পর এসে দেখলাম গাড়ি ভাঙা।’
বিকাশ পরিবহনের সহকারী বলেন, ‘কিছুই বুঝলাম না। স্টুডেন্টরা আসলো, হুটহাট কিছু গাড়ি ভাঙচুর করলো। তারা কেন ভাঙচুর করছে, তাও জানি না।’
ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাফ ভাড়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল করছিল। একপর্যায়ে দুষ্টু ছেলেরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ঢাকা কলেজের সামনের সড়কে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই সময় যাত্রীদের নামিয়ে কয়েকটি বাস প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী বাসে চলাচল করলেও তাদের থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো বাসচালক ও হেলপাররা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।