এবার জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও এর একটি টেন্ডারের কাজ সর্বনিন্ম দরদাতাকে না দিয়ে ৩য় নিন্ম দরদাতাকে দেয়া হল। এর কারণ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের আকারে ইঙ্গিতে বিপদগামী আওয়ামীলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
একই সাথে এও বলেন যে সর্বনিন্ম দরদাতা একজন স্বাধীনতা বিরোধী লোক এজন্য কাজ দেয়া যাবে না। অথচ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানেন না যে ওই পরিবারের এক সন্তান তার বড় ভাই ইতিহাস প্রসিদ্ধ ৭ নম্বর সেক্টরের জুনিয়ার সেক্টর কমান্ডার যার নাম স্বাধীনতার দলিলসহ সেনা গ্রন্থের প্রতি বইয়ে নাম রয়েছে, তিনি পৃথিবীর অন্যতম অর্থনীতিবীদ। ইহা ছাড়াও তার মা আওয়ামীলীগ পরিবারের সর্বোচ্চ সম্মানীত ব্যক্তি।ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, দেশের প্রতিটি জেলায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দরপত্র গ্রহণ ব্যবস্থা চলছে ‘ ‘ইজিপি,, পদ্ধতিতে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ঠাকুরগাঁও সরকারি হাঁস মুরগী খামারের ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে র ৯ জুন/২১ ঐ দপ্তরের মুরগীর খাদ্যসহ খাদ্য আনুসাংগিক মালামাল সরবরাহের ৩টি
গ্রæপের দরপত্র গ্রহণ করা হয়। ৪ জন ঠিকাদার ওই দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন।
মেসার্স আজিজুল হক, আব্দুল করিম, রহমান ট্রেডার্স ও কাজল ট্রেডার্স। মেসার্স আজিজুল হক ১নং গ্রুপে ও ৩নং গ্রুপে নিন্ম দরদাতা হন, আব্দুল করিম ১নং গ্রুপে ২য় নিন্ম দরদাতা হন। রহমান ট্রেডার্স ২নং গ্রুপে নিন্ম দরদাতা হন। কাজল ট্রেডার্স ৩নং গ্রুপে ২য় নিন্ম দরদাতা হন। দেখা যায়, দুই এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও ঠিকাদারের নাম প্রকাশ করা হয় নাই। শেষমেষ দেখা যায়, নির্বাচিত ঠিকাদারের নাম সকালে ১ জনের ও সন্ধ্যায় আরোও ১ জনের নাম দেখা যায়। প্রথম নিন্ম দরদাতা ১নং ও ৩ নং গ্রুপের মেসার্স আজিজুল হক ও ১ম গ্রুপের ২য় নিন্ম দরদাতা আব্দুল করিম।ব্যবস্থাপক সরকারি হাঁস মুরগী খামার ফরহাদ হোসেনের নিকট জানতে চান কারা
নিন্ম দরদাতা? আমরা নিন্ম দরদাতা আমাদের নির্বাচিত না করে ৩য় নিন্ম দরদাতাদের কেন ঠিকাদার নির্বাচিত করা হলো? তিনি জানান, টেন্ডার পদ্ধতি ‘ইজিপি, দরপত্র কমিটির চেয়ারম্যান মহা-পরিচালক তাঁর করার কিছুই নেই। সিদ্ধান্ত তারাই দিয়েছেন। ব্যবস্থাপক ফরহাদ হোসেনের কথা মতো মহা-পরিচালক ঢাকার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান দরপত্র কমিটির চেয়ারম্যান তিনি নন, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ঠিকাদার আজিজুল হক জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মেসার্স আজিজুল হক এর কাগজ পত্র শর্তানুযায়ী না থাকায় তার দরপত্র বাতিল হয়েছে। অপরদিকে তিনি আরোও জানান মেসার্স আব্দুল করিম স্বাধীনতা বিরোধী হওয়ায় তার দরপত্র পাওয়ার
বিষয়ে ‘ইজিপি,তে সুপারিশ দেওয়া হয় নি। ফলে ৩য় নিন্ম দরদাতা রহমান ট্রেডার্সকে ঠিকাদার নির্বাচিত করা হয়েছে।
মেসার্স আব্দুল করিম জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার এই বিষয়টি সরাসরি অবগত হওয়ার জন্য তার দপ্তরে তিনি ও তার সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মনোতোষ কুমারসহ দেখা করেন। সে সময়ে ওই কর্মকর্তা বলেন ঠিকাদার আব্দুল
করিম স্বাধীনতা বিরোধী। গত বছরে তিনি নিন্ম দরদাতা হওয়ায় উনাকে ঠিকাদার নিয়োগ করি। এই জন্য আমাকে কথা শুনতে হয়েছে।
এবার নিন্ম দরদাতা হলেও উনাকে ঠিকাদার নিয়োগের প্রশ্নই উঠে না।
ঠিকাদারসহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়টি অবগত হলে তারা অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি অবগত করেন। এই বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য
মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে-এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কর্মকর্তার দপ্তরে আসেন। মুক্তিযোদ্ধারা কর্মকর্তার
নিকট জানতে চান? ঠিকাদার আব্দুল করিম স্বাধীনতা বিরোধী আপনাকে কে অবগত করেছেন।
এই বিষয়টি নিয়ে তার দপ্তরে ব্যাপক
উত্তেজনা ও হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সেখান থেকে আমাদের প্রতিনিধিকে তারা বের করে দেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ওই
কর্মকর্তা বৈঠকে বসেন। মুক্তিযোদ্ধারা অফিস থেকে বের হয়ে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান ঠিকাদারকে তার গ্রুপের নিন্ম দরের কাজ
গুলো দেওয়া হবে। কে কর্মকর্তাকে অবগত করেছে তার নাম জানানো হবে না।
তবে ধারনা দেওয়া যেতে পারে ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা জানান ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় আনন্দ উৎফুল্লে আওয়ামীলীগ এর যে নেতা কুকুরের গলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি ঝুলিয়ে দিয়েছিলো এবং অপর
আরেকজন আওয়ামীলীগ নেতা তার বউ খুব সুন্দরি, এম.পি, মন্ত্রী, ও বিভিন্ন আমলাদের অফিস ও বাড়িতে গিয়ে আর্থিক লাভবান হয়ে
আসছেন ঐ দুই নেতা। তারা ঐ কর্মকর্তাকে ঠিকাদার আব্দুল করিম সম্পর্কে স্বাধীনতা বিরোধী অভিযোগ এনে ২য় নিন্ম দরদাতা হয়েও তাকে বাতিল করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কর্মকর্তাসহ দুই আওয়ামীলীগ নেতা ৩য় নিন্ম দরদাতা ঠিকাদারদের ঠিকাদার নির্বাচিত
করে দেন। এ ব্যবস্থায় সরকারের ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়,যে মেসার্স আব্দুল করিমকে স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে কাজ দেয়া হয়নি ।
মেসার্স আজিজুল হক, প্রোপ্রাইটর
তানজির ফার্মেসী, তিনি জানান জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছেন, আমি নিন্ম দরদাতা কিন্তু আমার কাগজ সঠিক না থাকায় তিনি আমার দরপত্র বাতিল করেছেন এবং মেসার্স আব্দুল করিমকে স্বাধীনতা বিরোধী হওয়ায় নিন্ম দরদাতা হওয়া সত্তে¡ও
তাকে ঠিকাদার নির্বাচিত করা হয় নাই। তিনি আরোও জানান দরপত্র শর্তাবলীতে স্বাধীনতার পক্ষে বা বিপক্ষের এ ধরনের কোন শর্তাবলী
ছিলনা। তার এই ধরনের বক্তব্য ও দরপত্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণ দন্ডনীয় অপরাধ।
বিষয়টি সচেতন মুক্তিযোদ্ধাদের সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে
তিনি জানান।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা শংকর কুমার দে বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভিতরে এ ধরনের কথা কখনই গ্রহণযোগ্য নয় এবং
এর পিছনে কে বা কাহারা আছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। বিষয়টি সম্পর্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা