রানা খান, প্রতিনিধি শ্রীপুর (গাজীপুর):
গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো, দুই পা মাটিতে ভাঁজ করা অবস্থায় ঔষধ ব্যবসায়ী বাশারের লাশ দেখতে পায় স্হানীয় জনগণ।পরে পরিবারের লোকজন এসে বাশারকে সনাক্ত পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে,৫ই ডিসেম্বর রবিবার গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের পণ্ডিতের জঙ্গলে। নিহত হাবিবুর রহমান বাসার(৩০) কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের খাইরুল প্রধানের ছেলে।
নিহত বাশারের বোনের জামাই সেলিম জানান, বাশার কাওরাইদ বাজারে ওষুধ ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মত শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বাজারে গিয়ে ফার্মেসি খোলে। রাত আটটা পর্যন্ত বাসার ফার্মেসীতে ছিল। রাত আটটার পরে কে বা কারা বাশারকে নিয়ে যায়। রাত বারোটা পর্যন্ত বাসার ফার্মেসীতে ফিরে না আসায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাবাকে ফোন করে জানায়। বাশারের বাবা খাইরুল প্রধান বাশারকে ফোন দিলে বাসার ফোন রিসিভ করেনি। পরে বাশারের বাবা দোকানে গিয়ে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে আসে। কিছুদিন যাবত স্ত্রীর সাথে বাশারের মনোমালিন্য চলছিল। স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল। বাশারের বাবা ভেবে ছিল হয়তো বাশার শ্বশুরবাড়ি চলে গেছে।
পরিবারের লোকজনের ধারণা বাশারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। বাশার যদি আত্মহত্যাই করবে তাহলে মাটিতে পা ঝুলিয়ে থাকে কি করে আর পায়ে জুতাই কিভাবে থাকে?
শ্রীপুর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস, আই )কামরুজ্জামান জানান, সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।