করিমগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়া ঈদগা মাঠে ১৯৮ তম ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় একমাস প্রস্তুতি শেষে আজ সকাল ১০ ঘটিকায় তোপধ্বনির মাধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর শহরের বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ নামাজের ইমামতি করেন। তাই তো মানুষের ভিতর উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এবারে ঈদের জামাতে আনুমানিক ৫ লাখের উপর মুসল্লী উপস্থিত হয়েছেন। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের পাশের সড়ক, নদীর পাড়, আশেপাশের বাড়ি ঘরের আঙিনা ও ছাদ জন সমুদ্র পরিণত হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ, বিজিবি, রেব-১৪, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান, আনসার, মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন । মাঠের ভিতর পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা সার্বক্ষণ নজরদারিতে ছিল। মাঠের ভিতর বসানো হয়েছে পুলিশের ওয়াচ টাওয়ার। আনুমানিক দেড় হাজার নিরাপত্তা কর্মী নিয়ে যেতে ছিলেন। মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার জন্য সকাল থেকে শহরের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আশেপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা যাতে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন সেজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ হতে দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করে। একটি ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ আসে এবং নামাজ শেষে ময়মনসিংহ ফেরত চলে যায়। অপর ট্রেনটি ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ আসে এবং নামাজ শেষে তা ভৈরব ফেরত চলে যায়। তাছাড়া এম্বুলেন্স, মেডিকেল টিম, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিয়োজিত ছিল। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়।
ঈদের নামাজ শেষ হতেই মুসল্লিরা আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের সঙ্গে কোলাকুলির মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন। এবং মুসল্লিরা অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে নামাজ শেষে যার যার গন্তব্যের ফেরত চলে যান।