ঢাকা জেলা প্রতিনিধি –
শসা একটি পরিচিত সবজি। আমাদের দেশে শসার রয়েছে ব্যাপক চাহিদা । এছাড়াও বাজারে শসার দামও ভাল। শসা মূলত সালাদ হিসেবেই বেশী ব্যবহার করা হয়ে থাকে । শসার চাষ একটি লাভজনক কৃষি। শসার রয়েছে অনেক গুণ। আসুন জেনে নেই শসা চাষের পদ্ধতি ও সার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে- বীজ বপনের সময় শসার বীজ বপন করার উত্তম সময় হল ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত । এসময় শসার বীজ রোপন করলে প্রত্যাশামতো ফলন পাওয়া যায়। চারা উৎপাদন বাজারে কেনা চারা লাগানোর থেকে নিজের হাতে চারা তৈরি করে জমিতে লাগানো ভাল। এতে করে শসার জাত নির্বাচন করা যায় নিজের ইচ্ছেমতো আর বাজার থেকে কিনলে শসার জাত নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যায়। নিজের হাতে তৈরি নার্সারী বা বীজতলায় চারা তৈরী করে নিতে হবে তারপর জমিতে রোপন করতে হবে। এক্ষেত্রে ৫০ঃ৫০ অনুপাতে পচা গোবর বা কম্পোষ্ট ও মাটি একত্রে মিশিয়ে ৬x৮ ইঞ্চি সাইজের পলিইথিলিয়ানের ব্যাগে ভরতে হবে। প্রতি ব্যাগে ২টি করে বীজ বপন করতে হবে। সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি শসা চাষের পদ্ধতি ও সার ব্যবস্থাপনা চারা রোপণ চারা রোপন করার আগে অবশ্যই পলিব্যাগ সরিয়ে নির্ধারিত জায়গায় রোপণ করতে হবে। তবে এসময় অবশ্যই চারার বয়স ১৬-২০ দিনের হবে। প্রতি ব্যাগে ২টি চারা থাকলে মাঠে লাগানোর ৬-৭ দিন পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল চারাটি তুলে প্রতি মাদায় ১ টি করে চারা রাখতে হবে। রোপণের দূরত্বঃ নির্ধারিত জায়গায় চারা লাগানোর দুরত্ব হবে ১.৫x১.৫মিঃ বাউনি দেওয়া তারের নেট অথবা সুতলী অথবা বাশের কঞ্চির সাহায্যে বাউনি দিতে হবে। বাউনি/মাচা নিকাশ নালার উভয় পাশের ২ বেড বরাবর ১টি দিলে চলবে। ফসল তোলা শসা পরিপূর্ণ হতে বেশী সময়ের প্রয়োজন পড়েনা। শসার জাত ভেদে বীজ বপন করার ৪৫-৬০ দিনের মধ্যেই ফসল সংগ্রহ শুরু করা যায়। ফলন হেক্টর প্রতি ১০-২০ টন শসা সংগ্রহ করা যেতে পারে।