লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
হাতীবান্ধায় স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ জানতে স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একটি রুমে একা রাখলে সেই স্বামী আত্নহত্যা করেছে এমন দাবি পুলিশের। শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য হিমাংশুর মরদেহ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মৃগে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন ও হাতীবান্ধা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিরনময় বম্মর্ণ সাগরও প্রাথমিক ভাবে ধারনা করেছেন আত্নহত্যায় হিমাংশু রায়ের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে ওই উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পুর্ব কাদমা মালদাপাড়া থেকে রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার ছবিতা রানী নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার স্বামী হিমাংশু রায়কে মৃত্যুর কারণ জানতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যু হয়।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ওই এলাকার বিশেশ্বর রায়ের ছেলে হিমাংশু রায়ের বাড়ীতে তার রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার স্ত্রী ছবিতা রানীর মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধারসহ মৃত্যুর কারণ জানতে ওই নারীর স্বামী হিমাংশু রায়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানার একটি রুমে রাখা হয়। সেই রুমে হিমাংশু রায় আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে।
হাতীবান্ধা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার হিরনময় বম্মর্ণ সাগর বলেন, হিমাংশু রায়কে হাসাপাতালে নিয়ে আসার আগে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে হিমাংশুর মৃত্যু হয়েছে আত্নহত্যা করে। তার গলায় দাগ পাওয়া গেছে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন হাসপাতালে গিয়ে মরদেহর প্রাথমিক তদন্ত করেন। প্রায় দুই ঘন্টা তিনি তদন্ত শেষে জানান, আমরা প্রাখমিক ভাবে ধারনা করছি, আত্নহত্যার কারণেই পুলিশ হেফাজতে হিমাংশু রায়ের মৃত্যু হয়েছে।
লালমনিরহাটের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকার জানান, আত্নহত্যার কারণে হিমাংশু রায়ের মৃত্য হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৃগে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে অবহেলা ছিলো কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।