এরআগে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দলটির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে দশ সদস্যের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম,
ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপের শেষভাগের ১৭তম দিনে বঙ্গভবনে যায় আওয়ামী লীগ।
উল্লেখ্য, একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপে বসতে রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগসহ মোট ৩২টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানান। ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হামিদ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে চলমান এই সংলাপ শুরু করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দলসহ (বিএনপি) মোট সাতটি রাজনৈতিক দল এ সংলাপে অংশ নেয়নি। এর আগে, নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনের বেশি নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বিগত কয়েক মেয়াদে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। আসন্ন ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন- যার অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ে