মাগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরায় দীর্ঘদিন ধরে মাগুরা টেক্সটাইল মিল বন্ধ থাকায় কর্মহীন মানুষের দুর্দশা, সরকারি সম্পদ অকেজো নষ্ট হওয়ার আশংকা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে মিলের ভেতর সাংবাদিক প্রবেশ, ছবি তোলা ও তথ্য প্রদান নিষেধ বলে উপর মহলের এমনই নির্দেশনার কথা জানালেন দ্বায়িত্বে থাকা হিসাব রক্ষক শরিফুল ইসলাম। স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে দেখালেন অসৌজন্যমুলক আচারন। বিভিন্ন মহল হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্র মতে অভিযোগ রয়েছে মাগুরা টেক্সটাইল মিল বন্ধ থাকায় হাজারো কর্মহীন মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন সেই সাথে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পতি রক্ষনাবেক্ষনের নামে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা নিজেদের ইচ্ছা মত বিভিন্ন কোম্পানির কাছে গুদাম ও বাসা বাড়ি ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া দির্ঘীদিন মিল বন্ধ থাকায় মিলের মেশিনগুলোয় মরিচা ধরাসহ অকেজ হতে চলেছে সরকারের কোটি কোটি থাকার সম্পদ। এ সকল বিষয়ে জানতে গেলে কোন সদুত্তর দিচ্ছেন না সেখানের দায়িত্বে থাকা হিসাব রক্ষক শরীফুল ইসলাম। বলছেন উপর মহলের নির্দেশনার কথা। আজ ২১ আগষ্ট সকালে মাগুরা ভায়না টেক্সটাইল মিলে সংবাদ সংগ্রহে ভিতরে গেলে সেখানে তাদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচারন করেন নিরাপত্তা রক্ষীসহ কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে গেটের ভেতর আটকা পড়েন স্থানীয় কয়েক সাংবাদিক। পরে তাদের উদ্ধারে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্যান্য সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থল মিলগেটে জড়ো হন। এক পর্যায়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন কবির ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে সাংবাদিকদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসিরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন মাগুরা টেক্সটাইল মিল বন্ধ থাকায় জেলায় সৃষ্টি হয়েছে বেকারত্ব। অপরদিকে বিশাল এ-ই সরকারি সম্পত্তির অপব্যবহার হচ্ছে। সরকারি সম্পদ ভাড়া দিয়ে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগও রয়েছে। বন্ধ থাকা টেক্সটাইল মিল রক্ষনাবেক্ষনের নামে চলছে হরিলুট। অবৈধ উপায়ে গুদাম, বাড়ি ভাড়া দেয়াসহ ভেতরে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগ করেন তারা। সচেতন মহল বলছেন মাগুরায় শিল্প কলকারখানা বলতে একমাত্র এ টেক্সটাইল মিলটি ছিল তাও দির্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি যদি টেক্সটাইল মিলটি চালু করা যায়। তাহলে জেলার বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখতে পারে। মাগুরা জেলা প্রশাসক ডাক্তার আশারাফুল আলম বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবীক হয়। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইন না মেনে যদি সরকারি সম্পত্তির অপব্যবহার করা হয় সে ব্যাপারে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।