মাগুরা প্রতিনিধি।।
মাগুরা শহরের কেশবমোড়ে মাসুম বিল্লাহ নামে এক ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী কর্তৃক জমির মালিকের চার শতক জমির উপর জোর করে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ। অভিযোগ ওঠা ওই ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীর নাম মাসুম বিল্লাহ। তিনি শহরের কেশবমোড়ে একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। তিনি মাগুরা সদরের নান্দুয়ালী গ্রামের মৃত ইসমাইল মোল্যার পুত্র।
স্থাপনা নিমার্ণের জমির মালিক মনোয়ারা বেগম (৫৮) মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ গ্রামের জাফর বিশ্বাসের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে প্রবাসে তার পুত্র আশিকুল ইসলাম মিলনের কাছে থাকেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, মনোয়ারা বেগম আমেরিকায় যাওয়ার পূর্বে তার ওই সব জমিজায়গা দেখাশোনা করার জন্য জামাতা দাউদ হোসাইনকে লিখিতভাব গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে দায়িত্ব দিয়ে যান।
মনোয়ারা বেগম ও তার ভাইবোনদের ওয়ারেশ সূত্রের ১১ শতক জমি রয়েছে কেশবমোড়ের একই দাগে। যা মাগুরার ৯৬ নং মৌজার ৬৩৬ এস.এ খতিয়ানের ১৩৪১ আর এস দাগের জমি।
এসব বিষয়ে দাউদ হোসাইন অভিযোগ করেন, ১১ শতক জমির উপর রাস্তার পাশে ৩/৪ শতকের জায়গার উপর একটি দোকানঘর করে ভাড়া দেওয়া হয় ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লাহ কাছে। ভাড়া নেওয়ার কয়েক মাস পর থেকে আর কোনো ভাড়ার টাকা দেয়নি। এছাড়াও লিখিত ডিট অনুয়ায়ী গত মাচ মাসের ২০২০ তারিখে ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলেও ঘর ছেড়ে যায়নি এবং বকেয়া টাকাও মাসুম বিল্লাহ দেননি বলেও অভিযোগ করেন দাউদ হোসাইন।
তিনি আরো জানান, তার শাশুড়ি
মনোয়ারা বেগম দেশে থাকতে ভাড়া নেওয়া ব্যবসার ওই জায়গা ব্যবসায়ী মাসুম তাকে না জানিয়ে অন্য ওয়ারেশের থেকে কিনে নিলে পরে তিনি ওই ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে মাগুরার আদালতে একটি আমানতের মামলা করেন। সেই মামলার নম্বর হচ্ছে ৩৯/১৭। যা এখনো আদালতে চলমান রয়েছে। একই জমির সাথে তার শাশুড়ির মালিকানা ৪ শতক জমির উপরে জোর পূর্বক সেখানে স্থাপনা নিমার্ণ করছেন ওই ব্যবসায়ী। এছাড়াও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমির উপর স্থাপনা নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ করেন দাউদ হোসাইন ও তার বিদেশি শ্যালক আশিকুল ইসলাম মিলন। এছাড়া ভাড়াটিয়া মাসুম বিভিন্ন সময়ে দাউদ হোসাইনকে গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন সময়ে হুমকিধামকি দেয় বলে অভিযোগ এনে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ভাড়াটিয়া ও ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লাহ,র বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন দাউদ।
এসব ঘটনার বিষয়ে ভাড়াটিয়া মাসুম বিল্লাহ জানান, তিনি মালিকপক্ষকের কাউকে ভয়ভীতি ও গালিগালাজ করেননি। মালিকপক্ষে জানিয়েই তিনি ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গা কিনেছে এবং তারপরও তারা আমানতের মামলা করেছেন এটা অযৌক্তিক বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া ভাড়ার টাকা তারা নিতে আসেনি বিধায় দেওয়া হয়না। জমিতে জোর করে স্থাপনা করছি এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান মাসুম বিল্লাহ।
এদিকে মালিকপক্ষ, তাদের বকেয়া ভাড়া দ্রুত পরিশোধ করে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমানত মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত ওই জায়গায় স্থাপনা নিমার্ণ বন্ধ রাখার আহবান জানান।