নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মাগুরায় ২.৫০ কিমি গ্রামীণ সড়কে এক ব্যাক্তির নামে একাধিক নামফলক থাকায় তা অপসারণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
রোববার দুপুরে এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রটি মাগুরা জেলা প্রশাসক সহ নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি, নির্বাহী অফিসার শ্রীপুর, সড়ক ও জনপদের বিভাগে পাঠেয় এলাকাবাসী।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপড়া ইউনিয়নের দোরান নগর গ্রামে ডাক্তার পঙ্কজ কান্তি মন্ডল নামে এক ব্যাক্তি নিয়মকানুন ভঙ্গকরে সড়কে নিজের নামে করেছেন একাধিক নামফলক। উক্ত সড়কটি দোরান নগর গ্রামে গড়াই নদীর তীরে ২.৫০ কি.মি কাঁচা ও পাকা সড়কে অনেক জায়গাজুড়ে ডাক্তার পংকজ কান্তির ৩০ থেকে ৩৫ টি বড় বড় নামফলক করা হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
সামান্য সড়কের কাজে এভাবে একাধিক নামফলক থাকায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যানবাহন চলাচলে সাইড দিতেও সমস্যা হচ্ছে ও দূর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে গ্রামের অনেকেই বলছেন এই কাজের উদ্দেশ্য কি রাস্তা সংস্কার করে জনগণের সেবা করা নাকি নিজের নাম মানুষের মাঝে চাউর করার কৌশল। রাস্তা সংস্কারে অবদান ও সহযোগিতা রয়েছে কাবিটা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বরাদ্দকৃত টাকা। কিছু অংশের সংস্কারে টাকা দিয়েছে ওই ডাক্তার অথচো সামান্য ব্যায় করেই তার নামে এই ফলকগুলো তিনি নির্মাণ করেন। এতে জনসাধারণের রাস্তায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে পাশাপাশি ঘটছে দূর্ঘটনা।
এলাকাবাসী জানায়, গ্রামবাসী একত্রে রাস্তার কাজে টাকা ও শ্রম দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দ ছিলো দুই লাখ টাকা। এছাড়াও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বরাদ্দ করেন ৫০ হাজার টাকা ও পঙ্কজ কান্তির কিছু টাকা দিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়। অথচো পুরো রাস্তাজুড়ে তিনি তার একার নাম ব্যাবহার করেছেন। যা পুরোপুরিভাবে দৃষ্টিকটু ও বেআইনী বলেও জানান স্থানীয়রা।
নিজের নামে রাস্তা করা নিয়ে জানতে চাইলে পংকজ কান্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এবিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন এলাকাবাসীর করা অভিযোগ যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।