বেনাপোল প্রতিনিধি।।
স্থল বন্দর বেনাপোল দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আমদাদিকৃত ১০০ কোটি টাকার হোমিও ঔষধ জব্দ করেছে বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা। এদে ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত রয়েছে। জাতিয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই ) এর তথ্য অনুযায়ী গতকাল শনিবার সকালে পণ্য চালানটি জব্দ করা হয়।
আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম ২৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ হাজার ২০০ প্যাকেজের (গ্রোস ওয়েট) ২২ হাজার ২৭৯ কেজি ওজনের হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন-১. ১.উরষঁঃরড়হ ১গ ৫০০সষ. ২.উরষঁঃরড়হ ২০০ঈঐ – ৫০০সষ. ৩. উরষঁঃরড়হ ৩ঢ-৩০ ঈঐ ৫০০সষ. ৪. গড়ঃযবৎ ঞরহপঃঁৎব উ/অ. আমদানি করে। চালানটি বেনাপোল স্থলবন্দরে ৩৪ নম্বর সেডে রতি রয়েছে। যার ম্যানিফেস্ট নম্বর ৬০১২০২৪০০২০০৪৬৩২১. তারিখ ২৮/০৭/২০২৪ ইং।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, জব্দকৃত চালানটির বাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকার উর্ধ্বে। আমদানিকারক চালানটির এলসি মূল্য ৭৫ হাজার ৩১২ মার্কিন ডলার বা ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮১৬ টাকা দেখিয়েছেন। সিএন্ডএফ এজেন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ এন্ড সন্স বেনাপোল যশোর আমদানিকারকের পে কাজ করছেন। পণ্য চালানটি এইচএস কোড ৩০০৪৯০২০ অনুযায়ী ১০% শুল্কহারে রাজস্বের জন্য ৯ লাখ ৯ হাজার ৭৬৩ টাকায় বিল অব এন্ট্রি সাবমিট করেছেন। কিন্তু প্রকৃতপে উক্ত পণ্যের এইচএস কোড হবে ৩০০৪৯০১০। এবং ৫৮.৬০% হারে রাজস্ব নির্ধারিত হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনারকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। ঔষধগুলোর একেকটির দাম একেক রকম।
ঘোষনা বহির্ভূত এবং অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত (রেকটিফাইড স্প্রীট) ও চারটি আইটেমের বিপরীতে ৩৮২ আইটেমের বিভিন্ন নামের ঔষধ আমদানি করেছে বলে এনএসআই বেনাপোল স্থলবন্দরের কর্মকর্তা বিষয়টি বেনাপোল স্থলবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দার উপ-পরিচালক সাইফুজ্জামানকে অবহিত করলে তার নেতৃত্বে চালানটি পরীা করে এনএসআইয়ের গোপন তথ্য সঠিক পাওয়ায় পণ্য চালানটি জব্দ করে খালাস স্থগিত করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন জানান, আমদানিকৃত কোন পণ্যে অনিয়ম পেলে সেটা তো জব্দ করতেই হবে। আমদানিকারক দ্য হোমিও ওয়ার্ল্ড, চট্টগ্রাম হোমিও মেডিসিন নামে ঘোষণা দিয়ে এই পণ্য চালান আমদানি করেন। পণ্যটি বেনাপোল বন্দরে আসার পর শনিবার সকালে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা পণ্য চালানটিতে আমদানি নিষিদ্ধ অতিরিক্ত ৯০ শতাংশ অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। যে কারণে চালানটি জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে অনিয়মে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ অনিয়ম করলে কোন প্রকার কাউকে ছাড় নয়।