
অলোক মজুমদার, চিতলমারী প্রতিনিধি
বাগেরহাটে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছে মোঃ ফজলুল হক ও বরাদুল ইসলাম বরাত নামের দুই ভূঁয়া সাংবাদিক।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার মুক্ষাইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ
ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই সাংবাদিককে আটক করেছে। আটক মোঃ ফজলুল হক নিজেকে সাপ্তাহিক অপরাধ তথ্যচিত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে দাবী করেছেন। অপর আটক বরাতুল ইসলাম নিজেকে ওই পত্রিকার ফটো সাংবাদিক পরিচয়
দিয়েছেন।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে,এম আজিজুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার পশ্চিমভাগ বেলায়েত হোসেন দাখিল মাদ্রাসার এক শিক্ষকের কাছে
(করোনার সময় শিক্ষার্থীদের কোচিং করানোর) অভিযোগ এনে দুই ভূঁয়া সাংবাদিক চাঁদা দাবী করে। এদিন সকালে চাঁদার টাকা নিতে আসলে স্থানীয় লোকজন তাদের বহনকারী গ্লাসে PRESS লেখা ঢাকা- মেট্রো-গ-১২-৮৪০৩ নম্বরের একটি সাদা প্রাইভেটকার সহ ধরে ফেলে। এরপর ৯৯৯ এ ফোন করলে বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃত দুই জন মোঃ ফজলুল হক সাপ্তাহিক অপরাধচিত্রের সম্পাদক ও অপরজন মোঃ বারাদুল ইসলাম একই পত্রিকার
ফটো সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়। তাদের একজনের বাড়ি খুলনার লবনচরা এলাকায় ও অপরজনের বাড়ী
বাগেরহাটের কচুয়ায় উপজেলায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে। জানাগেছে করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এই দুইজন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে বাগেহাটের বিভিন্ন শিক্ষকের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজী করেছে। সংবাদ পেয়ে সেইসব ভূক্তভোগীরা ও থানায় এসে এদেরকে সনাক্ত করেছে। এদের কারও কাছ থেকে ৫০০০ থেকে শুরু করে ৯০০০/১০০০০ পর্যন্তও টাকা নিয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা জানান।
আনুমানিক ১০ বা ১১ ইং আগষ্ট চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসে স্কুলের ছবি তুলো নিয়ে যায় এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে খোঁজে।স্কুলের নামে বিভিন্ন অভিযোগ আছে বলে জানান এবং স্কুলে আবার চা খেতে আসবে বলে জানান।তার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে যায় ও তার পত্রিকায় লিখতে অনুরোধ করে।
এদিকে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারের চালক সুযোগ বুঝে সেখান থেকে গাড়ী সহ চম্পট দেয়।