বাগমারা প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারায় পারিবারিক অশান্তির কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তবে গৃহবধূর পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে। এই বিষয়ে গৃহবধূর পরিবার থেকে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামি গৃহবধূর স্বামী হাফিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের মাঝগ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে শিরিনা খাতুনের সঙ্গে চেউখালী গ্রামের ভ্যানচালক হাফিজ উদ্দিনের বিয়ে হয়। কিছুদিন ধরে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গৃহবধূ শিরিনা খাতুনের মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। তবে কিছুদিন ধরে পরিবারের মধ্যে শান্তি বিরাজ করছিল। আজ সকাল নয়টার দিকে আফাজ উদ্দিন ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় অন্যদিনের ন্যায় স্ত্রীও তাঁকে বিদায় দেন। । কোনো এক সময়ে গৃহবধূ শিরিনা খাতুন ঘরের ভেতরে ঢুকে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ওড়না প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। গৃহবধূর স্বামী আফাজ উদ্দিন ও প্রতিবেশিরা বলেন, শিরিনা খাতুন আত্নহত্যা করেছে। তবে গৃহবধূর ভাই অভিযোগ করেন, তার বোনকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করা হয়ছে। ভগ্নিপতি ও তার পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় শিরিনা আত্মহত্যা করেছে। এই বিষয়ে তিনি থানায় মামলা করেছেন। বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, দুপুরে নিহত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। কাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।