দিবসটির প্রথম প্রহর রাত ১২.০১ টায় উদীচী অপরাজেয়’৭১ এ শহিদ স্মরণে আলোক প্রজ্জলন করে। পরে অপরাজেয়’৭১,ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম শহিদ মোহাম্মদ আলী সমাধি, নড়েশ চৌহানের সমাধি,শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসন চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিডি হলে গিয়ে শেষ হয়। বিডি হলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মনের সভাপতিতে এক আলোচনাসভা অনষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো: মাহাবুবুর রহমান,পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীন হোসেন,সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদোজা বদর, পৌর মেয়র আনজু মান আরা বন্যা, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মনসুর আলী প্রমূখ।
বিকেলে উদীচীর আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের শহিদ জায়া নিরুপমা রায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সেতারা বেগম,সাধারণ সম্পাদক রেজওঢানুল হক রিজু,সহ সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান,কমল কুমার রায়,এম এস আহমেদ রাজু,অমল টিক্কু,ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ। অনুষ্ঠানে শহিদ জায়া নিরুপমা রায়কে স্মারক সম্মাননা, বীরমুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের সহধর্মিনী রিনা আলম ও মানিক বসাকের সহধর্মিনী বন্দনা বসাককে একটি করে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। পরে এক মনোঞ্জ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁও পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়। এ অঞ্চলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চুড়ান্ত বিজয় আসে এই দিনটিতে। হানাদার মুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও। দিবসটি গত ১০ বছর যাবত উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদ বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃকি সংগঠনের সহযোগিতায় দিবসটি পালন করে আসছে।