আজ ১৫ জানুয়ারী সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হানিফ বাংলাদেশী বলেন
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২ এর ১২ ধারায় (৩ক) (ক) দফায় বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংবালিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। এই নিয়ম সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩৯ অনুচ্ছেদ এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী
আরপিও’র এই বিধান সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে ব্যক্তির চিন্তা-বিবেক ও বাক স্বাধীনতার অধিকারকে খর্ব করছে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন আর গোপন থাকছে না।
স্বাক্ষর করা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের নাম ঠিকানা যাচাইয়ের কারণে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, প্রতিদ্বন্দ্বী বা বিরোদীপক্ষের কাছে প্রকাশ পাচ্ছে। এর ফলে সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি বা ভোটারের গোপণীয়তা লঙ্ঘন হচ্ছে এবং তাদের জীবন হুমকীতে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।এই বিধান সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’ হওয়ার বিধানকে লঙ্ঘন করছে।
গণতন্ত্র হচ্ছে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। সংবিধানের ৭ (খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে অনুসারে মৌলিক কাঠামো সংশোধনযোগ্য নয়। ফলে গণতন্ত্রের কোনো অসামঞ্জস্য প্রক্রিয়া গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা গণতন্ত্রের মৌলিক চরিত্র।
ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত প্রকাশ্য সমর্থন দাখিলের প্রক্রিয়া প্রচলিত গণতন্ত্রের চরিত্র হতে পারে না। এ ছাড়া এ প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে আরপিও’র এ বিধান স্থগিত এই কালাকানুন বাতিলের উদ্যেগ নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে।
হানিফ বাংলাদেশী বলেন স্বতন্ত্র প্রাথীর ক্ষেত্রে ১% স্বাক্ষর বাতিল ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক বাতিলের দাবীতে আমি নির্বাচন কমিশনের সামনে কয়ে্যেকবার অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছি নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশাকরি নির্বাচন কমিশন এই অগ্রন্তান্ত্রিক আইন গুলো বাতিলের উদ্যেগ নিবেন।