মো: তামিম সরদার, পিরোজপুর :
আমার মা কে অনেক মেরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে বাবা এমনটাই দাবী করে থানায় সাক্ষী দিয়েছে জুজখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মীর। ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকাদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামে মাহফুজা বেগম নামে এক গৃহিনীকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায় স্বামী মিলন মীর এমনটাই অভিযোগ করে সাক্ষী দিয়েছে ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যতন ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.জ.মো: মাসুদুজ্জামান মিলু।
পারিবারিক ও মামলা সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পারিবারিক কোন্দলের জের ধরে গৃহিনী মাহফুজা বেগম কে অমানুষিক ভাবে মারধর করে স্বামী মিলন মীর। এসময় তাকে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের। মাহফুজা বেগমের ডাক চিৎকারে তার পুত্র মেহেদী হাসান ও অন্যান্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে মাহফুজা বেগমের মেঝ ভাই মো: হারুন সেখ বাদী হয়ে সদর থানায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যতন ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মাহফুজার পুত্র মেহেদী হাসান মীর জানান, প্রায় প্রতি রাতেই এমন ঘটনা ঘটতো। মাকে বাবা নিয়মিত মারধর করতো মা কাউকে কিছু বলতো না নবকিছু নিরবে সহ্য করতো। শুক্রবার রাতে এত পরিমানে মারে যে মা অজ্ঞান হয়ে যায়। মা পানি চাইলে জোর করে যেনো খায়িয়ে দেয়ার পরে পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে যায়। মা কে বাঁচাতে চাই।
মাহফুজার ভাই মো: হারুন সেখ জানান, মাহফুজাকে নিয়মিত মারধর করতো তার স্বামী মিলন মীর। মিলনের অনেক চাহিদা ছিলো আমরা পূরনে অক্ষম। অনেকবার শালিশ করা হয়েছে থানায় গিয়ে বন্ডে সাক্ষর করে আমার বোনকে নিয়ে এসেছে। কিন্ত এখন মনে হচ্ছে পুরোপুরি মেরে ফেলতে চায়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.জ.মো: মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যতন ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত আছে। আশা করছি অচিরেই আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।