জালিস মাহমুদ, পিরোজপুর ।।
পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গেলে পিরোজপুরে এহসান গ্রুপের মালিক পক্ষের লোকজনের দ্বারা শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয়েছে অত্র প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক মাওলানা ইয়াইয়াকে।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাগীব আহসানসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ভুক্তভোগিদের টাকা ফেরতের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।মারাত্মক আহত অবস্থায় মাওলানা ইয়াইয়া হাওলাদার (২৭) পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এহসান গ্রুপের ভুক্তভোগী গ্রাহক হারুন-অর-রশিদ জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাগীব আহসান ফোন করে পিরোজপুরের সিও অফিস এলাকায় এহসানের অফিসে ডেকে নেয়া হয় গ্রাহক ইয়াইয়া হাওলাদারকে। পরে ইয়াইয়া হাওলাদার টাকা আনার জন্য এহসান অফিস কার্যালয়ে গেলে অফিসের দারোয়ান হুমায়ূন কবির প্রথমে ইয়াইয়াকে কিল-ঘুসি দিয়ে জোর করে অফিসের ভিতরে ধরে নিয়ে যায় এবং অফিসের ভিতরে এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাগীব আহসান, রাগীবের ভাই আবুল বাশার খান এবং আরেক ভাই শামীম খান তাকে মারধর করে তার সঞ্চয়পত্র নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি ইয়াইয়া পরিবারের সদস্যদের ফোনে জানালে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আহতবস্থায় পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ভুক্তভোগীরা আরো জানান, এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাগীব আহসান পিরোজপুর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, খুলনা, ঝালকাঠী সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষাধিক গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন সহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করা হলেও কোন সমাধান পাচ্ছে না সাধারণ ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এছাড়া কোন ভুক্তভোগী গ্রাহক যদি পাওনা টাকা আনার জন্য তাদের অফিসে যায় তাহলে তাদের নানা রকম হুমকি দিচ্ছে এহসানের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আহত ইয়াইয়া হাওলাদারের পিতা আ. হান্নান হাওলাদার, ভুক্তভোগি গ্রাহক মাওলানা হারুন অর রশিদ, আ. মোতালেব সেখ, মাওলানা নাসির উদ্দিন, মাওলানা রফিকুল ইসলাম সহ আরও অনেকে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান জানান, এহসান গ্রুপের ভিতরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত করে দেখার পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে।