স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ :
পায়রা বন্দরের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রথম সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম, দ্বিতীয়টি মংলা এরপর পায়রা বন্দর। আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বানিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে ট্রাফিকিংও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তৃতীয় বন্দর হিসাবে পায়রা বন্দর চালু হওয়ায় আভ্যন্তরীন নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যান্ত সুন্দর হয়েছে।
আজ সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম থেকে একটি জাহাজ আসেত স্বন্দীপ ও হাতিয়ায় জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় কিন্তু পায়রা বন্দর থেকে কালিগঞ্জ হয়ে সরাসরি ঢাকা যেতে মাত্র ৩৬ ঘন্টা লাগবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। রবিশাশ বিভাগ একটি বড় এলাকায়। এ বিভাগে আগে ঢাকা থেকে মালামল আনানেয়া করতে হতো। এ পায়রা বন্দর থেকে বরিশাল ও ঢাকায় সরাসরি মালামাল নিতে পারবো। এ বন্দরের নাব্যতা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অনেক ভালো এবং যাতায়েতের ব্যবস্থাও অনেক ভালো।
পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান আরো বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য পায়রা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি স্বপ্ন ছিল। ২০১৩ সালেল নভেম্বর থেকে এ বন্দরটি যাত্রা শুরু করে। এ বন্দরটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় সড়কের উন্নতি, কালকারখানা স্থাপনসহ এলাকাভিত্তিক বাণিজ্য কায়্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে এ বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলো আসা শুরু করলেও বিদেশী জাহাজগুলো সবচেয়ে বেশি আসা শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে। ইতিমধ্যে ৯৫২টি জাহাজ পায়রা বন্দরে এসেছে। ইতিমধ্যে পাথর, এলজিপি এবং বিভিন্ন ধরনের কালকারখানা আমাদের প্রপোজল দিয়েছে। এখন এ বন্দরে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ আগমন করছে এবং চ্যানেলটি রক্ষাণাবেক্ষনের কাজ চলমান থাকবে।
এর আগে সকাল সোয়া ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে পুম্পার্ঘ অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লক্ষ শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
এসময় পায়রা বন্দরের সদস্য (হারবার এন্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ সোহরাব হোসেন, চীফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান খান, পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম, পরিচালক (বোর্ড) মোঃ আব্বাস উদ্দীন, পরিচালক (প্রশাসন) কাজী ফারুক আহমেদ, পরিচালক (হিসাব) মোঃ রাশেদুল হাসান, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) তায়েবুর রহমান, উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আজিজুর রহমান, সহকারী সচিব (সমন্বয়) মোঃ সাজিদুল ইসলাম সবুজসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। #