পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
খুলনার পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম/এস প্রমিলা মটরস্ এর মালিক ও চুকনগরের কৃষ্ণ নন্দী সহ তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। উপজেলার সরল গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ নায়েবের পুত্র মোঃ জিয়াউদ্দীন নায়েব ১১ মে ২০১৯ তারিখে প্রোমিলা মটরস পাইকগাছা থেকে একটি মটর সাইকেল কিস্তিতে ক্রয় করেন। যথা সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে ২০ হাজার টাকা হিসাব অন্তে বাকী থাকে। এরমধ্যে ২৯ অক্টোবর ২০২৩ এ একটি মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ২৮ ডিসেম্বর বেলা ১১ টার দিকে এম/এস প্রোমিলা মটরস্ এর প্রোঃ নীলা নন্দী, কৃষ্ণ নন্দী, ও বিশ্বজিৎ নন্দী সহ অজ্ঞাতনামা রা
জিয়াউদ্দীনের বাড়ী থেকে মটর সাইকেলের তালা ভেঙ্গে নিয়ে যায়। পহেলা ফেব্রুয়ারী জামিনে মুক্তি পেয়ে বিষয়টি জানতে গেলে সব অস্বীকার করে। ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে তাদেরকে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন তবে ১৮ ফেব্রুয়ারি নোটিশ পেয়েও কোন জবাব না দেয়ায় ২ এপ্রিল পাইকগাছা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দাখিল করেন। আদালত মামলা টি আমলে নিয়ে পি বি আই খুলনাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন । এবিষয় জিয়াউদ্দীন নায়েবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি যখন মটরসাইকেল ক্রায় করি তখন আমি জামানাতে যাবে ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করুন । তবে আমি যখন হিসাব অন্তে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে যাই তখন আমার গাড়ির কাগজপত্র ও আমার জামায়াতের চেকটি পরে দিবে বলে জানান। তখন আমি প্রতিবাদ করলে আমার কাছ থেকে টাকা না নিয়ে আমাকে পাঠিয়ে দেন তখন আমি চলে আসি। আর আমি যখন একটি মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে তখন আমার মটরসাইকেলের তালা ভেঙ্গে চুরি করে নিয়ে যাই। এবিষয় নীলা নন্দীর কাছে ০১৯২২৮০৭০০২ ফোন করলে নাম্বার টা বন্ধ পাওয়া যায় তখন ০১৭১১৩২৩৮২৭ নাম্বারে কৃষ্ণ নন্দীর সাথে কথা বললে বলেন আমি এম/এস প্রমিলা মটরস্ মালিক,নীলা নন্দী নামটা প্রোপাইটারে এমনিতেই রাখছি । কৃষ্ণ নন্দীর এমন বক্তব্যের কারণে মমান্য হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন তাহলে কি কৃষ্ণ নন্দীর নামে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেই কারনে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার জন্য
ভিন্ন নামে প্রতিষ্ঠান করেছে বলে আমি মনে করি। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এই আইনজীবী।।