কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

পরিকিয়ার অভিযোগ ওঠে কুষ্টিয়া আব্দালপুরের এক গৃহবধূর নামে। মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেই ওই গৃহবধূ।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ঝাউদিয়া ইউনিয়নের কাশীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা করা গৃহবধূ জেসমিনয়ারা জনি(২৫) আব্দালপুর গ্রামের বাঘপাড়ার ওমর মন্ডলের ছেলে ছানোয়ার ওরফে কালুর স্ত্রী। তথ্যসূত্রে জানা গেছে প্রায় ১১ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় তাদের। নিহত জনি ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্থানগর গ্রামের আব্দুল মজিদ সাখাওয়াতির মেয়ে। বিয়ের ৩ বছর পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কণ্যা সন্তান হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করার পর থেকেই মৃত জনির প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে ছানোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন।

এ ঘটনায় মৃত জনির পিতা আব্দুল মজিদ সাখাওয়তি জানান বিয়ের দুই তিন বছর পর থেকেই আমার মেয়ের উপর আমার জামাই ও তার শ্বশুর শাশুড়িরা ও ভাবি সহ পুরো পরিবার নানান কারণে আমার মেয়ের উপর নির্যাতন করে আসছিল, মাঝে মধ্যে তারা আমার মেয়েকে দিয়ে যৌতুকের টাকা দাবি করাত আমার কাছে, টাকা না নিয়ে আমার মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে তাকে আবারও শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো, যৌতুকের টাকা না পেয়ে কিছুদিন আগে আমার মেয়েকে দিয়ে তারা মোটা অংকের অর্থ উত্তলন করে একটা লোন নেয়, তবে কিছুদিন আগে থেকে আমার মেয়ের নামে কলঙ্ক রটানোর জন্য মিথ্যা পরকিয়ার দোষ দেয়, আমার মেয়ের জামাই ও তার শ্বশুর আমাকে বলে যে আপনার মেয়ে ছেলেদের সাথে খারাপ কাজ করে তবে আমি মেয়ের জামাই ও বেয়াই এর কাছে পরকীয়ার প্রমাণ চাইলে তারা প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়, এবং কোন ছেলের সাথে পরকীয়া করে সেটা জানাতেও তারা ব্যর্থ হয়, এমন অবস্থায় কয়েকদিন আগে আমার মেয়েকে তারা মেরে আহত করে আমার পাশের গ্রাম কাশীনাথপুর আমার শ্বশুর বাড়ির সামনে তারা রাতের আধারে অসুস্থ অবস্থায় রেখে যায় এমত অবস্থায় আমার মেয়ে অপমান ও মিথ্যা কলঙ্ক সইতে না পেরে গত সোমবার বিকেলে আমার মেয়ের নানার বাড়ির পাশে পানের বরজে যেয়ে আত্মহত্যা করে। এর শাস্তি দাবী করেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে ছানোয়ার ওরফে কালুর মোবাইল নাম্বারে কল দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, গত সোমবার রাতে আমরা ঝাউদিয়ার আস্থানগরে একটা আত্মহত্যা লাশ পাই পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়, তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।