গত মঙ্গলবার রাতে ঠাকুরগাঁও রোড কমিউনিটি সেন্টারে এ সভার আয়োজন করেন ঠাচিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি উজ্জল হোসেন। তবে ঠাচিকের দুই তৃতীয়াংশ শ্রমীক জানেনা এই সভার বিষয়ে । ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শ্রমীক ও কর্মচারী সদস্যের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আন্দোলনে যাবার কথা বলছে। তাই এ মাসেই সুগারমিলের আখমাড়াই শুরু হবার কথা থাকায় বিপাকে পরেছে মিল কতৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও চিনির কলের কর্মচারী ও শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, এই ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো ব্যালটে নির্বাচন ছাড়া কমিটি হয়েছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু কয়জন মিলে ইচ্ছা মতো কমিটি দিলো। এটা অরাজকতা। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা কর্ম বিরতির মতো আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
এ অবস্থায় সংগঠনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির শঙ্কা প্রাকাশ করছেন ঠাচিক শ্রমীক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আঃ কুদ্দুস সহ সংশ্লিষ্টরা।
আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এটা ঠাচিকের কর্মচারী ও শ্রমিকদের রেজিস্ট্রেশনকৃত সংগঠন। এই ইউনিয়নের একটা গঠনতন্ত্র আছে। একটি সাধারণ সভা ডাকতে হলে কমপক্ষে সাতদিন আগে জানাতে হয়। কিন্তু এই সভার কথা আমি শুনেছি আয়োজনের ঘন্টাখানেক আগে। এছাড়াও ৭২৮ জন সদস্যের ইউনিয়ন এটা। কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলো ৬০/৬৫ জন। এটাকে সাধারণ সভা হিসেবে মানবো কিভাবে?
এই বিষয়ে দিনাজপুর আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন ও উপ পরিচালক আবুল বাশারের বলেন, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এর আগে তাদেরকে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিলো। নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও বলা হয় সেই পরিপত্রে। তবে তারা হ্যাঁ/না কন্ঠ ভোটে কমিটি গঠন করেছে তা এখনও জানিনা। আমার কাছে এখনও রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি। তবে ব্যালটে নির্বাচন ছাড়া অন্যকোন উপায়ে কমিটি গঠন হলে সে কমিটি গ্রহণযোগ্য হবেনা।