নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
অবশেষে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কামালপুর গ্রামে থেকে উদ্ধার হওয়া গলা কাটা লাশের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে এবং প্রধান ঘাতক খুনিকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) পিবিআই তাদের অত্যাধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয়।
সেমবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) আসামিকে গ্রেফতারের পর তাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করেন তারা।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়,আসামিকে সোমবার সকালে মূল আসামী আবুল হাসানকে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানাধীন ফুলতলা গ্রামের জনৈক চাঁন মিয়ার ভাড়া বাসা হতে গ্রেফতার করে। আবুল হাসান নান্দাইল উপজেলার কামালপুর গ্রামের মৃত গিয়াসউদ্দিনের পুত্র। নিহত ব্যাক্তির নাম মৃতের নাম মোঃ ফজলুল হক (৭৩), পিতা মৃত-আঃ ছাত্তার,তিনি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি নরসিংদী সদরের খাটেহারা পূর্বপাড়ায় নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।
জানাযায়, একসময় ফজলুল হকের বাড়িতে আবুল হাসান তার স্ত্রী নাজমিন আক্তারকে নিয়ে দেড় বছর যাবৎ ভাড়া থাকত। ভাড়া থাকার সুবাদে ফজলুল হক এর সাথে আবুল হাসানের সুসম্পর্ক হয়। পরে গতক’দিন পূর্বে হাসানের স্ত্রীর সিজারের জন্য টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সে ফজলুল হকের নিকট সাত হাজার টাকা ধার করে। পূর্বে ধার কৃত টাকা পরিশোধ না করেই আবুল হাসান পুনরায় তার নিকট আবারো টাকা ধার চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করে। এতে হত্যাকারী আবুল হাসান ফজলুল হকের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় এবং পুরো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে।
পরবর্তীতে কৌশলে ফজলুল হককে হত্যাকারীর নিজ বাড়ী নান্দাইলে বেড়াতে নিয়ে আসার পথে রাত অনুমান পৌনে আট টার দিকে বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে ধান ক্ষেতের আইলে ফজলুল হককে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে এবং ঘটনাস্থলেই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা-টি ঢিল দিয়ে ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়।
উক্ত ঘটনায় কালেঙ্গা গ্রামের চৌকিদার মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
এবিষয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান,আসামিকে আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করা হবে। ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।