ধর্মপাশা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় মাদক সেবন করায় ও মাদক বিক্রি করার অপরাধে সোমবার (২৬আগস্ট) রাতে দুইজন ব্যক্তিকে পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। মাদকব্যবসায়ী আবদুল হাইয়ের (৫৫) বাড়ি উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামে। আর মাদক সেবনকারী মো.সেলিমের (২০) বাড়ি উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের উত্তরবীর গ্রামে।
উপজেলা প্রশাসন, ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের একটি বসতঘরের ভেতরে দুইজন ব্যক্তি গাঁজা বিক্রি ও সেবন করছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন বয়সী ৩০থেকে ৩৫ জন ওইদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই বসতঘরের ভেতরে ঢুকে সেখান থেকে পলিথিনে মুড়ানো ১০গ্রাম ও এক পুড়িয়া গাঁজাসহ আবদুল হাই ও সেলিমকে হাতে নাতে আটক করেন। ওইদিন রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাদশাগঞ্জ পশ্চিমবাজার মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম দীপ্ত, রিফাত হাসান জনি,মোল্লা মাহমুদ হাসানসহ সেখানে থাকা ৩৫ থেকে ৪০জন শিক্ষার্থীর কাছে এই দুইজনকে হস্তান্তর করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তাৎক্ষনিকভাবে শিক্ষার্থীরা ঘটনাটি ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন ও ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোহাম্মদ আকবর হোসেন কে মুঠোফোনে অবগত করেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামান থানা পুলিশ নিয়ে সেখানে গিয়ে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে দুইজনই গাঁজা সেবন করার কথা স্বীকার করেন। এদের মধ্যে আবদুল হাই গাঁজা সেবনের পাশাপাশি গাঁজার ব্যবসা করেন বলে স্বীকার করেন। এ অবস্থায় গাঁজা ব্যবসায়ী আবদুল হাইকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা এবং গাঁজা সেবন করায় সেলিমকে ১০দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলার বাদশাগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনদের সর্বাত্মক সহায়তা নিয়ে এই উপজেলায় মাদক, জুয়া, সন্ত্রাসসহ সব ধরণের অপরাধমূলক ও অসামাজিক কার্যক্রম রোধের লক্ষে আমরা কাজ করছি।
ধর্মপাশা থানার এসআই সনজিন কুমার রায় বলেন, ওই দুইজনকে মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।#