নিজস্ব প্রতিবেদক।।
রাষ্ট্রের একটা মৌলিক পরিবর্তন বা সংস্কার যেমন প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়জন ভোটাধিকার গণতন্ত্রের। কারন ক্তৃতবাদী সরকার দীর্ঘদিন ১৫ বছর জগদল পাঁথরের মত চেপে বসে ছিলো। এই জগদল পাথর সরাতে গিয়ে অসংখ ছাত্র যুবক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে, হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। দেশে বেশিদিন অগণতান্ত্রিক সরকার থাকলে আহত নিহত মানুষের রক্তের সাথে বেইমানী করা হবে। দেশে যারা দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে তারা আশাহত হবে। আজ ২৭ সেপ্টম্বর রোজ মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হানিফ বাংলাদেশী এই কথা বলেন।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন প্রধান উপদেস্টার ভাষন গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নির্বাচনের কোন রূপরেখা না থাকায় জনগণ হতাশ হয়েছে। আমি দীঘদিন যাবত দেশে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং দুর্নীতি দুশাসনের বিরুদ্ধে ৬৪ জেলায় ৪বার প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দুনীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৪৯৫ উপজেলায় গিয়ে উপজেলা নির্বাহী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দীঘ ৬ বছর আমি নিন্মের কর্মকাণ্ড গুলো করেছি।
২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রতিবাদে ১৯ মার্চ ২০১৯ সালে আমি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ১০০৪ কিলমিটার ৩৬ দিনে পায়ে হেঁটে পদযাত্রা করেছি।
২০১৮ সানের নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করার জন্য ৪ জুলাই ২০১৯সালে নির্বাচন কমিশনকে পচা আপেল দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে আমি জনগণের ভোটাধিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদে একটা আইন পাশের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংসদ ভবনের চার পাশে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে ইস্পিকার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
২০১৯ সালের ১লা সেপ্টম্বর থেকে দেশে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৬৪ জেলায় গিয়ে প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি। দুর্নীতিবাজদের উদ্যেশে প্রতিকী লাল কাড প্রদশন করেছি।
২০২০ সালের ৫ সেপ্টম্বর সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে ঢাকা থেকে প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম ফেলানীদের বাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা করেছি।
২০২১ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে “মার্চ ফর ডেমোক্রেসি” গণতন্ত্রের জন্য ৬৭ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছি।
২০২২ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক বাতিলের দাবীতে নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। আমার দাবির পেক্ষিতে এই বার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিক বাতিল হয়েছে।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন ও ভোটাধিকারের দাবীতে ভোটের বাক্স মাথায় নিয়ে ৬৪ জেলা প্রদক্ষিণ করে রাষ্ট্রপ্রতি বরবর স্মারকলিপি দিয়েছি। আমার দাবির পেক্ষিতে এই আইন পাশ হয়েছে।
২০২৩ সালে র ১লা জানুয়ারি থেকে দুর্নীতি দুরশসনের বিরুদ্ধে ৪৯৫ উপজেলা প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরবর স্মারকলিপি দিয়েছি।
২০২৪ সালে সীমান্ত হত্যা ও আগ্রসন বন্ধের দাবীতে সীমান্ত লাগোয়া ৩২ জেলায় প্রতীকী লাশের মিছিল করেছি।
যুদ্ধ বন্ধের দাবীতে জাতিসংঘ বাংলাদেশের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছি। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার দাবীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। এই ছাড়াও সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকারের জন্য সব সবসময় প্রতিবাদ করি। আমি বৈষম্য বিরুধী ছাত্র আন্দলনে তাদের পাশে ছিলাম। এখন অন্তর্বর্তী সরকারকেও সমর্থন করি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমার দাবি ১। ৫ বছর পরপর ৩ মাসের জন্য চিরস্থায়ী তত্বধায়ক সরকার ব্যবস্থা্র আইন পাশ করুন ২। গণনেতৃত বিকাশে দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করুন। ৩ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।