
নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল মাঝির (৫২) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে হিজলা থানা পুলিশ। শনিবার (১৬ মার্চ) ভোররাতে হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকার নদী তীরবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জামাল মাঝির হত্যার তথ্যের সততা স্বীকার করে হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ জুবাইর বলেন দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের হিসাবে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।
এ মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড দাবি করেছে নিহতের স্ত্রী। তার দাবি, ধুলখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল ঢালির সঙ্গে তার স্বামী জামাল মাঝির তর্কবিতর্ক হয়েছে। গত সপ্তাহে জামাল ঢালীর ভাতিজা নিজাম শালা মিরাজ গোলদার সহ এই বাহিনী তার স্বামী জামাল মাঝি , দুই ছেলেও মেয়েকে হামলা করে ঘর বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট করে নিয়ে যায় সবকিছু। নিতর স্ত্রী একই আখিনুর বেগম বলে পরিকল্পিতভাবেই তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা জামাল মাঝি (৫২) পালপাড়া গ্রামের মৃত কাদের মাঝির ছেলে। তিনি (জামাল মাঝি) উপজেলার ৬ নম্বর ধুলখোলা ইউনিয়নের ৭ নম্বর পালপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়াও বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারী।
নিহত জামালের স্ত্রীর অভিযোগ, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল ঢালির নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাতে ধুলখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল ঢালির সঙ্গে আমার স্বামীর (জামাল মাঝি) তর্কবিতর্ক হয়। তখন চেয়ারম্যান জামাল ঢালি আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেন। আজ (শনিবার) সকালে নদীর তীরে আমার স্বামীর রক্তাক্ত লাশ পেয়েছি।
নিহত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন এর জানাযায় এসে স্থানীয় সাংসদ বলেন গত কয়েকদিন যাবত আলিগঞ্জ এলাকা উত্তাল পুলিশের ঘড়ি মিশির কারণেই এই হত্যার সংগঠিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন আওয়ামী লীগ নেতার নিহতের সংবাদে ২ ঘন্টায়ও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ।
হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ জুবাইর বলেন, পালপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটকরা হয়নি। এছাড়া থানায় কারো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।