নিজেস্ব প্রতিবেদক।।
দক্ষিণ অঞ্চলের পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় 'পান' চাষের বাম্পার ফলন হলেও প্রকৃত দাম পাচ্ছেনা বলে পান চাষিদের দাবী।
সরজমিনে দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানাযায় শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখে গলাচিপা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে 'পান' চাষের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে দাম নিয়ে হতাশ এবং দিশেহারা প্রান্তিক 'পান' চাষিরা।
চিকনিকান্দী, ডাকুয়া, বকুলবাড়িয়া ও গলাচিপা সদর ইউনিয়নে বছরের বর্ষা মৌসুমে 'পান' চাষে যেমন নানা ভোগান্তি শেষ নেই। 'পানের' বরে অতি বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়া 'পান' চাষের বরের ভেতরে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হলে পানি সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে 'পানের লতা পচনধরা থেকে রক্ষা করতে হয়। এতে 'পান' চাষের মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সার কীটনাশক ব্যবহার করলেও তা পানিতে নষ্ট হওয়ায় 'পান' চাষিদের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপজেলার কয়েক শত 'পান' চাষি।
ডাকুয়া ইউনিয়নের মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, শ্রী নিবা, অনিমেষ হাওলাদা, বিকাশ হাওলাদার, তাদের সাথে কথা হলে জানাযায়, বর্তমানে 'পানের' দাম না পাওয়ায় দৈন্দিন শ্রমিকদের মজুরি দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে 'পানের' বাম্পার ফলন হলেও পূর্বের মতো বিদেশে রপ্তানি না হওয়ায় বর্তমানে বাজারে প্রকৃত দাম পাচ্ছি না।
বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রান্তিক 'পান' চাষি মোঃ ইলিয়াস হোসেন, ইব্রাহীম গাজী, গোবিন্দ চন্দ্র, তারা বলেন আমরা এক একজনের ২০ থেকে ১'শত কুড়ি পানের বরে লক্ষ লক্ষ টাকা পুঁজি খাটিয়ে ' পান' চাষ করে আসছি। এছাড়া এক সময় আমাদের এ দক্ষিণ অঞ্চলের পটুয়াখালীর জেলার 'পান' জনপ্রিয় হওয়ায় প্রকৃত দাম পেয়ে স্বাবলম্বী হয়ে জীবন-জীবিকা পরিচালিত করেছি। কিন্তু বর্তমানে 'পানের' দাম না পেয়ে প্রতিদিন ঋনগ্রোস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পরছি।
গলাচিপা উপজেলার ' পান' চাষি মালিক সমিতির সভাপতি ও সফল 'পান' চাষি আবদুল লতিফ তালুকদার বলেন, দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে 'পান' চাষ করে আসছি, বিগত বছরে আমাদের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের 'পান' দেশ বিদেশেও রপ্তানি হয়েছে, 'পান' চাষিরাও পেয়েছে সঠিক দাম। বর্তমানে লক্ষ লক্ষ অর্থ ব্যায় করে অনেক উন্নত মানের 'পান' বাম্পার চাষ হলেও, বাজারে তেমন দাম না পাওয়ায় হতাশায় আর দুঃশ্চিতায় দিন কাটাতে হচ্ছে। তাছাড়া 'পান' চাষিদের জন্য সরকার সঠিকভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় 'পান' চাষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পথে বসে যাচ্ছে প্রান্তিক 'পান' চাষিরা।
এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার গণকন্ঠ কে জানান, 'পান' অত্যান্ত একটি লাভজনক ফলন, এটি কিছুদিন বিশ্বের মাহামারী ভাইরাস এর কারনে 'পান' রপ্তানি বন্ধ হলেও, সরকার পুনোরায় ইউরোপ এবং সার্ক ভূক্ত এশিয়া দেশ গুলোতেও ' পান' রপ্তানি শুরু করছে। তবে হ্যা এটা সঠিক যে বর্তমানে প্রচুর পরিমানে 'পান' চাষ হওয়ায় 'পানের' দাম পূর্বের চেয়ে একটু কমের দিকে। তবে 'পান' চাষিরা শীঘ্রই এ সমস্যা থেকে উঠে দারাবেন আশা করি। এছাড়া সরকার ঘোষিত অনুযায়ী কৃষিকদের জন্য কৃষিঋণ, কৃষি প্রনদনা দেয়া সহ কৃষি অধিদপ্তর কৃষক জনগোষ্ঠীর পাশে সব-সমই পাশে আছে এবং থাকবে বলে তিনি ব্যক্তকরেন।
প্রধান কার্যালয়ঃ ২৯ চামেলীবাগ, শান্তিনগর (টুইন টাওয়ারের পাশে) ঢাকা-১০০০।
শাখা কার্যালয়ঃ কালী মন্দির কমপ্লেক্স, বটতলা, কাউরিয়া বন্দর, হিজলা, বরিশাল।
যোগাযোগঃ ০১৭৫৭-৮০৭৩৮৫
E-mail: prothomkontho7@gmail.com
prothomkonthonews@gmail.com
© All rights reserved © Dailyprothomkontho.com Web Design by: SuperSoftIT.com