নিজেস্ব প্রতিবেদক।।
আজ ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ইং রোজঃ সোমবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এর রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হুমায়ুন পারভেজ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন প্রতারণার অভয়ারণ্য। বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের কন্ঠরোধ করতেই প্রণীত হয়েছে৷ অথচ লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হলেও সরকার নির্বিকার। প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে ই-কমার্সের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা দেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তার গ্রেফতার হবার ঘটনা পুরো জাতির জন্য লজ্জা। ডাক বিভাগের কোন ধরণের মালিকানা ছাড়াই সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস “নগদ” বাংলাদেশের ব্যাংকের চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই এতদিন ব্যবসা করে আসছে। বিনাভোটের সরকারের দুইজন এমপির মালিকানায় থাকা এই আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির ৪০০ কোটি টাকার উপর ঋণ থাকলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেয়ার মার্কেট থেকে বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে চাচ্ছে। আমাদের স্পষ্ট মনে আছে, দেশীয় ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট সংগ্রহের সুবিধার জন্য সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে “পেপ্যাল” চালুর ঘোষণা দিলেও সেটা ছিলো একধরণের চালাকি৷ সেই ঘোষণায় চালু হওয়া “জুম” সার্ভিস আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। একই পরিণতি সরকারি ল্যাপটপ “দোয়েল” বা নানা সময় ঘোষণা দেয়া বিভিন্ন সরকারি এপসের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে ভাইরাল হওয়া ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও অপসারণে বিটিআরসির ভূমিকা নিয়ে ইতোমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট বিভাগ। বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ফোনালাপ ফাঁস হলেও কে বা কারা কিভাবে এই কাজ করছে সেটার কোন সুরাহা হয় না। অথচ সরকার প্রধান বা সরকারের সমালোচনা করলেই কপালে জুটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার, জেল-জরিমানা। পিরামিড স্কিম বা প্রলোভনের ফাঁদে সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাতকে বিতর্কিত করা সম্ভব হয়েছে সরকারের দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থার কারণে৷ স্পষ্ট বলতে চাই, ডিজিটাল প্রতারণা ঠেকাতে ব্যর্থ সরকার”।
উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনডিএম’র যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরাসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ। গুগল মিটের মাধ্যমে ঢাকার বাইরের নেতৃবৃন্দ উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।