পাবনা প্রতিনিধি।।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরিবহন প্রশাসক ড. মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী হয়েও নিজেকে বিএনপি-জামায়াতপন্থি দাবি করে নতুনদের দায়িত্ব গ্রহণে বাধা দিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের শীর্ষ পদে নিজেকে এবং তার আস্থাভাজনদের বসানোর চেষ্টা করছেন তিনি। যে কারণে বর্তমানে ‘টক অফ দ্যা ইউনিভার্সিটি’ কামরুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পাবিপ্রবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন পরিবহন প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান। তিনি পাবনায় দুই ছাত্রকে গুলি করে হত্যায় অভিযুক্ত পাবনার ভাড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের খুবই আস্থাভাজন হিসেবে পরিচতি। এছাড়া সাঈদের ছোট ভাই পাবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডনের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
কামরুজ্জামান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রক্টর ও পরিবহন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকার পতনের পর প্রক্টর হওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালান তিনি। কিন্তু তাকে করা হয় পরিবহন প্রশাসক। তাকে বাদ দিয়ে দুই দফায় দুইজনকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেয়া হলেও কামরুজ্জামানের হুমকি ও বাধাতে কেউ দায়িত্ব নিতে সাহস করেননি।
সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট দুপুরে নবনিযুক্ত প্রক্টর হযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা ও ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড.মোঃ ইমরান হোসেন পদত্যাগ করেন। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস করছেন না। বর্তমানে ‘টক অফ দ্যা ইউনিভার্সিটি’ কামরুজ্জামান!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, নিজ এলাকার লোক হওয়ার সুবাদে আবু সাঈদ চেয়ারম্যানের সাথে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে আওয়ামীলীগ আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপট দেখিয়ে চলতেন কামরুজ্জামান। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে হাসিনার পতনের পর পুনরায় বিএনপি-জামায়াত ঘেষা হয়ে উঠেছেন তিনি।
হাসিনা সরকারের নানা সুবিধাভোগী তিনি। আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে চলতেন, এখন বিএনপি-জামায়াত ঘেষা হয়ে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীদের জন্য ভীতির কারণ সৃষ্টি করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. কামরুজ্জামান বলেন, ’এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। যারা দায়িত্ব পেয়েছিলেন তারা সবাই আমার সহকর্মী। তাদেরকে আমি ইয়ে (হুমকি-বাধা) করতে পারি? এটা সম্ভব না। আর আবু সাঈদ চেয়ারম্যান আমার এলাকার লোক, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের সময় হয়তো কেউ ছবি তুলতে পারে। কিন্তু তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
#ৎ