ঢাকা জেলা প্রতিনিধি –
সনাতনধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় শাস্ত্রমতে একবার দেবসভায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে শিব-পার্বতীও আমন্ত্রিত হন। কিন্তু পার্বতীর কাছে অনুষ্ঠানে পরার মতো কোনো অলংকার ছিল না। তিনি পড়লেন মহাসংকটে। স্বর্গলোকের সকল দেবীর দেহে যেখানে অলংকার শোভা পাবে, সেখানে তিনি নিরাভরণ বেশে যান কেমন করে? বিব্রত শিব বিশ্বকর্মার কাছে সহায়তা চাইলেন। কিন্তু বিশ্বকর্মা শিবকে জানালেন যে, পৃথিবীর সব রত্ন আগেই আহৃত হয়েছে এবং সেসব রত্নের অলংকার পরেই দেবীরা স্বর্গলোকের অনুষ্ঠানে যাবেন। একমাত্র সিন্ধুতলের শঙ্খই অবশিষ্ট আছে, যা দিয়ে তিনি পার্বতীর জন্য উৎকৃষ্ট অলংকার তৈরি করে দিতে পারবেন। অগত্যা শিব তাতেই রাজি হলেন। পার্বতী যখন শঙ্খ-অলংকার পরে দেবসভায় গেলেন, তখন শঙ্খের উজ্জ্বল শুভ্র আলোয় দেবীদের রাশি রাশি মণিমাণিক্য ম্লান হয়ে গেল। তখন থেকেই বিবাহিতা হিন্দু নারীর শ্রেষ্ঠ অলংকার হলো একজোড়া শাঁখা।