কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে জামানতই হারাচ্ছেন নৌকা প্রতীকের তিন প্রার্থী। ছবির ডান থেকে, এরা হলেন হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান সম্পা মাহমুদ, বটতৈল ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান এমএ মোমিন মন্ডল, ও আলামপুর ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান। কোনো প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।এদের মধ্যে সম্পা মাহমুদ পেয়েছেন ২৩২ ভোট, মোমিন মন্ডল ১১৪ ভোট ও আব্দুল হান্নান ১৭৭ ভোট পেয়েছেন। ৫ জানুয়ারির এ নির্বাচনে ১১টির মধ্যে মাত্র একটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের লাল্টু রহমান। ১০টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়াও উপজেলার মোট ২৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় মোট ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯ ইউনিয়নে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোট ২৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীর। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সহিদুর রহমান জানান গেজেট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই তাদের জামানতের টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হবে। তবে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার অর্থ খুব বেশি নয়, মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। বিজয়ী কয়েকজন চেয়ারম্যান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনসমর্থনহীন ব্যক্তিদের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। ইউনিয়নে যারা জনপ্রিয় তাদের বাদ দেওয়ার ফলে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। যোগ্যদের বঞ্চিত করে অন্যদের মনোনয়ন দেওয়ার কারণেই নৌকার এমন পরাজয় হয়েছে। যদি যোগ্যদের হাতে নৌকা দিতো তাহলে নৌকার ভরাডুবি হতো না বলে তারা মন্তব্য করেন।