মাহমুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥
কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৭ম ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে ভোটাররা দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সদর উপজেলার সেনুয়া ইউনিয়ন ও বড়গাঁও ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র গুলোতে সকাল থেকে ভোটাররা ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় তুলনামূলক বেশি ।
তবে কিছু ভোটকেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।দুপুরে সদর উপজেলা সেনুয়া ইউনিয়নের মৌলানখুড়ি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক হন মতি রায়(২৫) নামে এক যুবক। পরে তাকে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলাউদ্দিন ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। এছাড়াও সেনুয়ার ৭ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রটিতে দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোট কেন্দ্রে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। হামলাকারীদের নাম ঠিকানা তাৎক্ষনিক ভাবে নিশ্চিৎ করতে পারেনি কেউ। এ সময় জনগণ ও পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে পালায় তারা।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই ২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে বড়গাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে ফয়জুর রহমান (আ’লীগ), হাতপাখা প্রতীকে আব্দুল গফুর (ইসলামী আন্দোলন) ও স্বতন্ত্র হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আবু সাঈদ নুর আলম প্রতিদ্বন্দিতা করেন। অপরদিকে সেনুয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোবেল কুমার সিংহ (আ’লীগ) ও স্বতন্ত্র হিসেবে আশরাফুল ইসলাম (চশমা), মতিয়ার রহমান (ঘোড়া) ও মটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মতিউর রহমান মতি প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
উল্লেখ্য, সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দুই ইউপি’র বড়গাঁও ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে ৫ হাজার ৬৪১ জন পুরুষ ও ৫ হাজার ৫৩৭ জন মহিলা মিলে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১৭৮ জন। অপরদিকে সেনুয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৫২৪ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৩৬২ জন মহিলা মিলে মোট ৬ হাজার ৮৮৫ জন ভোটার।