পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানার ওসি জগলুল হাসান এর তৎপরতায় উপজেলার চরমোন্তাজ- ইউনিয়নের চরলক্ষি গ্রামে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে আসামী গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেররণ করেছে থানা পুলিশ।
মামলা ও ঘটনা সূ্ত্রে জানা যায়, চরলক্ষি গ্রামের হতদরিদ্র লাল মিয়া খা’য়ের মেয়ে কিশোরী মেয়ে লামিয়ার সাথে বিবাবহ প্রলবণ দেখিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ ধর্ষণ করে আসছিলো একই গ্রামের জাকির (ওস্তার) ছেলে উজ্জল।
ভিকটিম লামিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর বুধবার গভীর রাতে কিশোরী মেয়ে ভিকটিম লামিয়াকে উজ্জল জোর পূর্বক পুনোরায় বিবাবহের প্রলবনে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
এসময়ে আমি বিবাবহের কথা জানলে, ধর্ষণ কারি উজ্জল বিভিন্ন তালবাহানা এবং হুমকি ধামকি দিতে শুরু করে। বিষয়টি আমি আমার মা বাবাকে জানালে, উজ্জল এর পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিসি নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।
পরে বিষয়টি রাঙ্গাবালী থানার ওসি স্যারের মোবাইল ফোনে বিস্তারিত জানালে ওসি স্যার বিষয়টি আমলে নিয়ে ধর্ষণ কারি উজ্জল কে ৯ জানুয়ারি রবিবার দ্রুত গ্রেফতার করে মামলা গ্রহনের ব্যবস্থা করেন বলে ভিকটিম ও তার পরিবার
জানান।
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মোঃ জগলুল হাসান এর মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি জানান, পুলিশ জনগণের বন্ধু ভেবেই অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের এবং ভিকটিম এর অভিযোগে আইনি সহায়তা করার চেষ্টা করার পাশাপাশি ধর্ষণের অভিযোগে উজ্জল নামের আসামীকে
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সালের সংশোধীত ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় গ্রেফতার জেল কারাগার প্রেররণ হয়েছে, যার মামলা নং-২।
এদিকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ এর জোরাল পদক্ষেপ নেয়ায় সর্বস্তরের জনসাধারণে মাঝেঁ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আস্থা বেড়ে জাওয়া এলাকায় স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। পাশাপাশি ওসি জগলুল হাসান এবং সকল পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ এবং ভূয়সী প্রসংশা করেন চরমোন্তাজ- ইউনিয়নের অসহায় ও নিপীড়িত জনসাধারণ।