ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার স্থানীয় যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের ভাই কামাল হোসেন বাদি হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ভাটিরচরনওপাড়া গ্রামের মৃত মামুদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন ও কামাল হোসেনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের চলে আসছিল একই এলাকার মৃত জমদ আলীর ছেলে হাসিম উদ্দিন, হারুন রশিদ, আব্দুর রাশিদ ও প্রতিবন্ধী মোস্তাফা গংদের সঙ্গে। গত রোববার বিরোধপূর্ণ জমির পাশের ক্ষেতে বাদির লোকজন ঘাস পরিস্কার করতে গেলে বিবাদীরা ক্ষিপ্তহন। দিনভর উত্তেজনার পর রাত ৮টায় বাদী পক্ষের তিনটি বাড়িতে বিবাদীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। ওই সময় বাদির লোকজন ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলে বিবাদীর লোকজন ঘন্টাব্যাপী ভাংচুর ও লুটপাটের মতো তাণ্ডব চালায়। বিষয়টি নিয়ে বাদি কামাল হোসেন জানান, রোববার দিবাগত রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হাসিম উদ্দিন, হারুন অর রশিদ, আব্দুর রাশিদ ও তাদের সন্তানরা অজ্ঞতনামা আরো কিছু লোক নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। ভয়ে তারা বাড়ি থেকে সরে গেলে তিনটি বশত ঘরে ভাংচুর করে প্রায় ৬লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা সহ দু’টি গরু, ঘরে বিক্রির জন্যে রাখা ধান, একটি ফ্রিজ ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। বিবাদী পক্ষের হারুন অর রশিদের ছেলে মহিদুল ইসলাম জানায়, তাকে শুধু শুধু আসামী করা হয়েছে। হামলায় সে জড়িত নয়। তবে প্রতিবন্ধী মোস্তফা ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন, বাড়িঘরে তারা হামলা করেনি তারা শুধু আ’লীগ নেতা বিল্লালকে দৌড়ানি দিয়েছিল। বাকীটা সাজানো নাটক। ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।