মাদারীপুর প্রতিনিধি॥
ঈদে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসা হলো না মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কাজী পরিবারের চার সদস্যের। বুধবার (২০ মার্চ) সকালে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ডোমরাকান্দিতে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের চার জন নিহত হয়েছেন। এ সময় ওই পরিবারের আরও দুই সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের স্বজনরা জানায়, পারিবারিক কাজ ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুরে আসছিলেন কাজী পরিবারের তিন বোন, দুই ভাই আর এক ভাইয়ের স্ত্রী।
এ সময় বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল গ্লোবাল পরিবহবনের একটি বাস। বিপরীত দিক থেকে আসছিল মাইক্রোবাসটি। ঘটনাস্থলে এলে বেপরোয়া গতির বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে কাজী পরিবারের তিন বোন নাসিমা কাজী (৭০), সালমা কাজী (৬০), আসমা কাজী (৫৮) ও ভাইয়ের স্ত্রী কমল বেগম (৬৬) ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ ঘটনায় দুই ভাই হুমায়ন কবির কাজী ও খায়রুর আলম কাজী গুরুতর আহত হন। এতে মাইক্রোবাস চালক আলমগীর (৪৫) ঘটনাস্থলে মারা যায়।
নিহতের ভাতিজা কাজী আসাদ বলেন, ‘আমরাও টিভিতে জেনেছি আমার তিন ফুফু ও এক চাচার স্ত্রী সড়ক দুঘর্টনায় মারা গেছে। তারা মুলত সবাই ঢাকাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। ঈদে গ্রামের মানুষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত আর জমি-জমা নিয়ে আলোচনার জন্যে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা।’
তাদের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনেরা শোকে পাথর। নিহত তিন বোনের মাঝে দুই জনের লাশ ও ভাবীর লাশ কালকিনিতে আনা হবে। নিহত আরেক বোনের লাশ তার শ্বশুরবাড়ি গোপালগঞ্জে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের এসআই নোমান ও মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।