নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঘাটের ইজারায় অংশগ্রহণ করায় পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ব্যবসায়ী মোঃ লিমান তালুকদারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি নেতারা। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ জানালে তারা অভিযোগ গ্রহণ করেনি ও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোঃ লিমান তালুকদার জানান, গত ২৪ মার্চ সোমবার পিরোজপুর জেলা পরিষদ কর্তৃক আমরাজুরি খেয়া ঘাট ইজারার দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেসময় স্থানীয় সুলতান মাঝি বৈধভাবে দরপত্র জমা দেন। তবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত তালুকদার তাকে বাধাঁ দেন এবং দরপত্র জমা দিতে নিষেধ করেন। এরপরও দরপত্র জমা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে লিয়াকত তালুকদার, ইকবাল, মইন, সগীর, রাজুসহ ২০-২৫ জনের একটি দল লিমান তালুকদার ও সুলতান মাঝিকে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে।
হামলার শিকার ব্যবসায়ী জানান, ২৪ মার্চ রাত ৮টার দিকে আমরাজুরি ফেরিঘাট এলাকায় তাকে খুঁজতে আসে হামলাকারীরা। তাকে না পেয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “মদিনা ডেইরি এন্ড সুইটস”-এ হামলা চালানো হয়। এসময় দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা লুট করা হয়। ক্যাশিয়ার ও কর্মচারীদের মারধর করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ডিভিআর ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং দোকানের তালা মেরে চাবি নিয়ে যায়। বর্তমানে দোকানটি বন্ধ রেয়েছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় কাউখালী থানার ওসিকে ফোন করা হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। বরং ওসি তাকে উপজেলা বিএনপির সভাপতির সঙ্গে সমঝোতা করার পরামর্শ দেন। যাহার একটি রেকর্ড সংরক্ষিত আছে। হামলার শিকার হওয়া ব্যবসায়ী ও ইজারাদার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগী লিমান তালুকদার বলেন, আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন ১৫ জন কর্মচারী নিয়ে পরিচালিত হয়। কিন্তু হামলা ও লুটপাটের কারণে এটি বন্ধ হওয়ার পথে। আমি ও আমার পরিবার এখন চরম আতঙ্কে আছি এবং জীবননাশের আশঙ্কা করছি। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।