মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীর বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির সভাপতির পরিবর্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজ অধ্যক্ষের যৌথ স্বাক্ষরে বেতন -ভাতা উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চ। গতকাল ২৯ নভেম্বর বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফোরকান মিয়া মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে এডহক কমিটির সভাপতি গোলাম সরোয়ার টুকু কর্তৃক কলেজের ৩৪ শিক্ষক- কর্মচারীদের গত তিন মাস ধরে বেতন-ভাতার সিটে প্রতি স্বাক্ষর প্রদান না করা ও এডহক কমিটি গঠনের পর কোন সভা না করায় রিট পিটিশন (যার নং ১১৩৮৩ অফ ২০২১) দায়ের করেন। শুনানী শেষে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলারুজ্জামান এর দ্বৈত বেঞ্চ ৬ মাসের জন্য এডহক কমিটির সভাপতির পরিবর্তে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদ ও কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ ফোরকান মিয়ার যৌথ স্বাক্ষরে শিক্ষক- কর্মচারীদের বেতন ভাতা উত্তোলনের আদেশ প্রদান করেন। এছাড়া গত তিন মাস ধরে কেন শিক্ষক- কর্মচারীদের বেতন- ভাতা প্রদান করা হয়নি তার জবাব দেয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও কলেজের এডহক কমিটির সভাপতির প্রতি রুল জারির আদেশ প্রদান করেন। এ বিষয়ে জানার জন্য বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি গোলাম সরোয়ার টুকুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ মুঠোফোনে বলেন, অফিসিয়াল কোন পত্র বা আদেশ না পেলেও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফোরকান মিয়া হাইকোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার এম মইনুল ইসলামের দেয়া ল’সার্টফিকেট এর কপি দেখিয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার এম মইনুল ইসলাম মুঠোফোনে তার দেয়া ল’ সার্টফিকেটের সত্যতা স্বীকার করেন।